মেডিকেল ছাত্রী নির্যাতনের মামলার ট্রায়াল শুরু হচ্ছে দুর্গাপুর এডিজে কোর্টে
 
						মামলা স্থানান্তর হল এডিজে কোর্টে
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: গত ১০ অক্টোবর রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ বিজড়া ডাঙাপাড়ার শেখ রিয়াজউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ, নাসিরুদ্দিন শেখ ওরফে সম্রাট, সফিক শেখ এবং বিজড়া বাউড়িপাড়ার অপু বাউড়িকে গ্রেফতার করে। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী তাঁর সহপাঠী মালদার ওয়াসিফ আলির সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তার পাশের জঙ্গলে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। ওই মামলায় ঘটনার দিন তিনেক পরে গ্রেফতার করা হয় সহপাঠী ওয়াসিফকেও।
তাদের সবাইকে প্রথমে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এদের মধ্যে দু’জন শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ সফিক ২০ অক্টোবর দুর্গাপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয়। বিচারকের নির্দেশে ২৪ অক্টোবর দুর্গাপুর উপ সংশোধনাগারে টিআই প্যারেড হয়। অভিযুক্তদের নির্যাতিতার মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়। ঘন্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চলে সনাক্তকরণ পর্ব। সেই রাতের ঘটনায় কার ভূমিকা কী ছিল তা তিনি স্পষ্ট করে দেন। নির্যাতিতার আইনজীবী পার্থ ঘোষ বলেন, সহপাঠী যেহেতু আগে থেকেই চিহ্নিত তাই সে বাদে বাকি ৫ জনকে এদিন দাঁড় করানো হয় নির্যাতিতার সামনে। তাদের সঙ্গে আরও অপরিচিত কয়েকজনকেও দাঁড় করানো হয় যাতে কোনও ত্রুটি না হয়ে যায়।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
ঘটনার ২০ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। চার্জশিট অনুযায়ী, সহপাঠী ওয়াসিফকে ধর্ষণ, তিন জন নাসিরুদ্দিন শেখ, ফিরদৌস শেখ এবং অপু বাউড়িকে গণধর্ষণ, ডাকাতি ও ছিনতাই এবং শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ সফিকের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ছিনতাই এর মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার বিচারক অভিযুক্তদের জামিন ফের নাকচ করে এক দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল।(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)



 
			 
			 
			 
			 
			