খবরের জের, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের হস্তক্ষেপে বৃদ্ধাকে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিল পুলিশ

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: ছেলে-বৌমা দেখে না। বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার দক্ষিণ পল্লীর দুর্গা মন্দিরের আটচালায় গত এক সপ্তাহ ধরে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা বেলারানী বর্মন। পাডার লোকজন তাঁর দেখভাল করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর দর্পণে এই খবর প্রকাশিত হয়। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, রাতেই পুলিশ তাঁকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি বৃদ্ধাশ্রমে তাঁকে রাখার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
বৃদ্ধার স্বামী শ্রীকান্ত বর্মন চাকরি করতেন বর্তমানে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা এমএএমসিতে। তিনি নিজে এমএএমসি হাসপাতালের আয়া ছিলেন। পরে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের আয়া ছিলেন। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। আর বড় ছেলে জয়ন্ত বর্মন ঘর জামাই থাকে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। এক সময় স্বামী মারা যান। বয়স বাড়ায় একদিন বেলারানীরও অবসর হয়ে যায়।
তারপর বড় ছেলে জয়ন্ত বর্মনের শ্বশুরবাড়িতে বেলারানীর ঠাঁই হয়। দিন সাতেক আগে ছেলে-বৌমা মিলে তাঁকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে, এমনই অভিযোগ বেলারানীর। অসহায় অবস্থায় তিনি দক্ষিণ পল্লীর দুর্গামন্দিরে এসে আশ্রয় নেন। মশারি, খাবার ও জলের ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিল পুলিশ। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
