দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: লোন পেতে গেলে প্রোডাক্ট কিনতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়া হয়। এরপর দেখা যায়, তাঁদের নামে এসি, মোবাইল সহ বহু জিনিস কেনা হয়েছে ধারে। কিন্তু একটি প্রোডাক্টও তাঁদের ঘরে আসেনি। নিয়েছে অন্যজন। এখন ফাইন্যান্স সংস্থার লোকজন দিন রাত বাড়িতে এসে ঝামেলা করছে। চরম বিপাকে পড়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) কাঁকসার বহু দুঃস্থ মানুষ। থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আপাতত এক যুবককে আটকও করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় ওই যুবক তাঁদের লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন দোকানে নিয়ে যায়। তাদের জানায়, সরাসরি লোন মিলবে না। কোনও প্রোডাক্ট কিনতে হবে। তাহলেই লোন পাওয়া যাবে। গবীর মানুষেরা দায়ে পড়ে তাতেই সায় দেন। এরপর ওই যুবক তাঁদের বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্টের লোন করে দেয়। কিন্তু তাঁরা না পেয়েছেন কোনও প্রোডাক্ট। না পেয়েছেন লোনের টাকা। অথচ বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন ফাইন্যান্স সংস্থার কর্মীরা।
( রাজেন্দ্র একাডেমি ফর টিচার্স এডুকেশন। NAAC স্বীকৃত শিক্ষক প্রশিক্ষণের সেরা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 8170031466)
মাথায় হাত পড়েছে ওই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলোর। তাঁদের বক্তব্য, যাঁর খড়ের চাল, তাঁর নামে এসি, যে জনমজুর তাঁর নামে দামি টিভি কারওর নামে দামি ফ্রিজ সহ নানা প্রোডাক্ট দেওয়া হয়েছে। ফলে কারওর ঘাড়ে ৩০ হাজার, কারওর নামে ৫০ হাজার, কারওর নামে ৮০ হাজার টাকার লোনের বোঝা চেপেছে। চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাঁদের। তাঁদের ধারণা, এর পিছনে বড় চক্র কাজ করছে। এমন কী দোকানদার এবং ফাইন্যান্স সংস্থা যৌথভাবে গরীব সাধারণ মানুষদের ফাঁদে ফেলেছে বলেও মনে করছেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।