একমাত্র শিক্ষক অবসর নিতেই বন্ধ হয়ে গেল জঙ্গলমহলের স্কুল, বিপাকে অভিভাবকেরা

দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: একমাত্র শিক্ষক অবসর নিতেই ঝাঁপবন্ধ হয়ে গিয়েছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের। প্রশ্নের মুখে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার জঙ্গলমহলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের একেবারে শেষ প্রান্তে গড় জঙ্গল। সেই জঙ্গলের মাঝে ছোট্ট গ্রাম আদুরিয়া। দলিত সম্প্রদায়ের শিশুদের পড়াশুনার জন্য সেখানে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র চালু হয়েছিল। ১৫ জন পড়ুয়া ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসখানেক আগে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকের অবসর হয়। তারপর থেকে শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের দরজা। চরম সমস্যার মুখে অভিভাবকরা। প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে রক্ষিতপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় সেইসব পড়ুয়াদের। তবে জঙ্গলের ভিতর হয়ে এত রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যাওয়া পড়ুয়ারাদের পক্ষে কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, গ্রামের সিংহভাগ মানুষ দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। তাই বেশিরভাগ দিন কাজ ছেড়ে বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। পঠন-পাঠন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওরা।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কাঁকসার বিডিওর কাছেও তাঁরা শিশু শিক্ষা কেন্দ্র পুনরায় খোলার দাবি তুলেছেন। সুমিত্রা রায়, রাজু সোরেন, সনমনী সোরেনদের অভিযোগ, “শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। সেই দিন থেকে গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে। আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তায়। ছয় কিলোমিটার দূরের স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাচ্চাদের একা ছাড়াও সম্ভব নয়। কারণ জঙ্গলে রয়েছে নেকড়ে, হায়না, শুয়োর সহ হিংস্র জীবজন্তু। আমরা চাই গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক দেওয়া হোক। শুরু হোক আবার পঠন-পাঠন।”
যতদিন তৃণমূল সরকার এই রাজ্যে ক্ষমতায় আছে ততদিন কিছু হবে না, কটাক্ষ বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রমন শর্মার। তিনি বলেন, “শিক্ষকের অভাবে স্কুল বন্ধ। ভাবা যায়! এই সরকার যতদিন থাকবে ততদিন বাংলার শিক্ষার এই রকম হাল থাকবে।” রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “আমরা অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মাত্র ১৫ জন পড়ুয়া ছিল। ১৫ জনকে নিয়ে কী ভাবে স্কুল চালানো সম্ভব? তবুও আমি দেখে নিচ্ছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
