দুর্গাপুর দর্পণ ডেস্ক, ২৫ জুলাই ২০২৪: কিছুদিন ধরেই অল্পস্বল্প পেটে ব্যথা? সাবধান, পাকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে! ডাক্তার দেখাতে দেরি করবে না। দিন দিন কমতে থাকবে খিদে। বমি বমি ভাব আসতে পারে। হঠাৎ একদিন কালচে রক্তযুক্ত মল বের হবে। পেট ফুলে যাবে। তখন ভয় জাঁকিয়ে বসবে। তাই সময় থাকতে থাকতেই ডাক্তারের কাছে যান। পাকস্থলী ক্যানসার (Stomach Cancer) হলে এমন হতে পারে। সাধারণত মধ্যবয়স্ক অর্থাৎ ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সি পুরুষেরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন এই রোগে।
প্রথম দিকে শরীরে রক্তশূন্যতা, খিদে কমে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়া পেটে ব্যথা, মলের সঙ্গে কালো রক্ত, পেট ফুলে যাওয়া, খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া, মাথা ঘোরা প্রভৃতি লক্ষণ থাকে। অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল যেমন ক্রমাগত তামাক দ্রব্য সেবন করা, নোনতা খাবার খাওয়া, প্রিজারভড ফুড, রেডমিট অর্থাৎ গরু, পাঁঠা, শুয়োরের মাংস, বার্নড ফুড যেমন কাবাব, তন্দুরি, বার্বিকিউ প্রভৃতি খাবারে থাকা কার্বন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এগুলি পাকস্থলী ক্যানসারের কারণ।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
ডায়েট করতে গিয়ে খাবার স্কিপ করা যাবে না। যখন খিদে পায় বা যখন আমরা খাবার খাই তখন পাকস্থলী থেকে এইচসিএল অর্থাৎ হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নির্গত হয়। যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। খালি পেটে থাকলে এবং এই অভ্যাস দিনের পর দিন চললে এই অ্যাসিড নির্গত হতে পারে না। ফলে, পাকস্থলী ক্ষয়ে গিয়ে গ্যাস্ট্রিক আলসারের রূপ নিতে পারে। যা পরে পাকস্থলীর ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই খালি পেটে দীর্ঘক্ষণ থাকা ঠিক নয়। ওবেসিটি অর্থাৎ ওজন বেশি হলে পাকস্থলীর উপরের দিকে ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। পাকস্থলী এবং খাদ্যনালির যে জংশনটা রয়েছে সেটা অ্যাসিডের কারণে পুড়ে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। পারিবারিক ইতিহাসের গুরুত্বও রয়েছে এখানে। বংশসূত্রে পরিবারের পর পর প্রজন্মের এই ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।