ফলনের আশায় ৮০ বছর ধরে চলছে মুনুই উৎসব, মহা সমারোহে হল শ্যামরূপার আরাধনা

দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: প্রায় ৮০ বছর আগের কথা। তীব্র দাবদাহে নষ্ট হয়ে যায় বীজতলা। হল না ধান চাষ। কার্যত বিনা মেঘে বজ্রপাত চাষীদের মাথায়। চাষীরা সব একজোট হয়ে বৃষ্টির আশায় রাজা লক্ষ্মণ সেনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শ্যামরূপার মন্দিরে যজ্ঞ শুরু করেন। দেওয়া হয় ছাগ বলি। এরপরেই মুষলধারে বৃষ্টি নামে। চাষীরা মনের সুখে ধান চাষ শুরু করেন। ধানের ফলনও বেশ ভালো হয়। লাভের মুখ দেখেন চাষীরা। পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার কাঁকসার বিষ্ণুপুরের চাষিরা বুঝলেন দেবীর কৃপা বর্ষিত হয়েছে তাঁদের উপর। গ্রামবাসীরা এই পুজোর নাম দিলেন মুনুই উৎসব।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
তখন থেকে প্রতি বছর বিষ্ণুপুরের বাসিন্দারা মুনুই উৎসব পালন করে আসছেন। মহা সমারোহে শ্যামরূপার আরাধনা করা হয় এই দিনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রত্যেক বছর আমন ধান চাষের আগে বর্ষাকালে হয় শ্যামরূপার পুজো। যজ্ঞ হয়। হয় ছাগবলি। খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয়। গ্রামের সবাই একত্রিত হয়ে খিচুড়ি ভোগ গ্রহণ করেন। পুজোর পরেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত। চাষীরা ধান চাষ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস পাতর বলেন, “খরার জন্য ৮০ বছর আগে একবার ধানের বীজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চাষ না হওয়ায় অতান্তরে পড়ে গিয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। মায়ের পুজো দেওয়ার পর সব বদলে যায়। ধান চাষ হয়। প্রচুর ফলনও হয়। তাই আমরা প্রতিবছর এই দিনে শ্যামরূপার মন্দিরে পুজো দিই।”
(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

