কাঁকসা থানায় এলেন সুতন্দ্রার তিন সহ কর্মী, এখনও খোঁজ নেই বাবলুর!

দুর্গাপুর: রবিবার মাঝ রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের পানাগড়ে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় হুগলির চুঁচুড়ার যুবতী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী তথা নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (২৭)। গাড়ির রেষারেষি থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় দাবি করেন পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী। যদিও সেদিন সকালে যুবতীর গাড়ির চালক সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেন, যুবতীকে প্রথমে দুষ্কৃতীরা কটুক্তি করে। এরপর গাড়ি নিয়ে পিছু ধাওয়া করে। ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করছেন সুতন্দ্রার মা তনুশ্রীদেবীও। যদিও লিখিত অভিযোগে ইভটিজিংয়ের উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি পানাগড়ের কাওয়ারিপট্টির গাড়ির যন্ত্রাংশ কাটাইয়ের ব্যবসায়ী বাবলু যাদবের। সেই রাতে গাড়িটি বাবলুই চালাচ্ছিল বলে জানান এসিপি (কাঁকসা) সুমন কুমার জসোয়াল। দুর্ঘটনার পরে আশপাশের লোকজনের ভয়ে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় বাবলু ও তার সঙ্গীরা। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ বাবলুর বাড়িতে গিয়েছিল। তার ও সঙ্গীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার সকালে কাঁকসা থানায় এসে পৌঁছান সুতন্দ্রার তিনজন সহকর্মী। সকাল ১১টার পরে কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা থানায় আসেন। আসেন এসিপি (কাঁকসা) সুমন কুমার জসোয়াল। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবলুকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশের তরফ থেকে কোনও কিছুই স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে না। বাবলুকে কতক্ষণে গ্রেফতার করা হবে, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
