আদালতের বাইরে হাজার হাজার মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে মিডিয়েশন সেন্টারে

দুর্গাপুর দর্পণ, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে ৯০ দিনের মিডিয়েশন ক্যাম্পেন। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এবং সুপ্রিম কোর্টের মিডিয়েশন ও কনসিলিয়েশন প্রজেক্ট কমিটির যৌথ উদ্যোগে চলছে ‘বিশেষ মিডিয়েশন ড্রাইভ, জাতির জন্য মিডিয়েশন’। বাদী-বিবাদীর আবেদন গ্রহণ করে মিডিয়েশন সেন্টারে প্রশিক্ষিত মিডিয়েটরদের মাধ্যমে মামলার নিস্পত্তি ঘটিয়ে ৬ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।
মিডিয়েশন সেন্টারে বিভিন্ন ধরণের মামলা যেমন, মীমাংসাযোগ্য ফৌজদারি মামলা, উচ্ছেদ বন্টন, বিচ্ছেদ, ভরণপোষণ, জমি অধিগ্রহণ, অর্থ সংক্রান্ত মামলা তথা বিভিন্ন দেওয়ানি মামলা যা আদালতে বিচারধীন, তা মীমাংসা করা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি রাজ্যের ৭২ টি এডিআর সেন্টার (বিকল্প বিবাদ নিস্পত্তি কেন্দ্র) রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সৌমেন সেন এবং মেডিয়েশন কমিটির সভাপতি বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জি-র নেতৃত্বাধীন মিডিয়েশন এবং কনসলিয়েশন কমিটি সারা বছর বিচারাধীন মামলাগুলি বা প্রাক বিচারাধীন বাণিজ্যিক মামলাগুলি দুই পক্ষের সম্মতিতে নিষ্পত্তি ঘটাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে রয়েছেন সুদীপ ব্যানার্জি। কলকাতা হাইকোর্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘মিডিয়েটর’ হিসাবে কাজ করছেন হাইকোর্ট সংবাদদাতা তথা কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন। কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইটের রেজিস্ট্রার ইনসলভেনসি এবং মিডিয়েশন ও কনসিলিয়েশন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ড: শুভাশিস মুহুরী বলেন, “রাজ্যের সমস্ত নিম্ন আদালতে ২২ হাজারের বেশি এবং কলকাতা হাইকোর্টে ১৮০-র কাছাকাছি মামলা মিডিয়েশন সেন্টারে পাঠানো রয়েছে। যার সিংহভাগ নিষ্পত্তির মুখে।” ( বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )
