প্রতিবন্ধী ছেলেই বৃদ্ধ বাবা-মায়ের একমাত্র ভরসা, হাতিয়ার টোটো

মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ১৭ কেজি ওজন টোটো চালক রাজুর
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ রাজু। বয়স ৩২ হলেও শরীরের গড়ন আজও বালকের মতো। উচ্চতা মাত্র তিন ফুট, ওজনও কেবল ১৭ কেজি। এত ছোট গড়ন দেখে অনেকেই তাঁকে বাচ্চা ভেবে টোটোতে উঠতে চান না। ফলে সংসারের গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েও প্রতিদিন সংগ্রামের মুখে পড়ছেন রাজু।
অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা ও সংসারের একমাত্র ভরসা রাজু। বাবা শেখ আহমেদ হোসেন একসময় মাছ বিক্রি করতেন, কিন্তু অসুস্থতার কারণে পাঁচ বছর ধরে কর্মক্ষম নন। ভাইবোনেরা আলাদা হয়ে যাওয়ায় পুরো সংসার চালানো, বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচ ও ওষুধ কেনার দায়িত্বও এখন রাজুর কাঁধে। ঋণ করে, এমনকি গরু-ছাগল বিক্রি করে তিনি একটি টোটো কিনেছেন। কিন্তু সেভাবে যাত্রী না মেলায় রোজগার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
রাজুর পড়াশোনা থেমে যায় অষ্টম শ্রেণিতে। ছোটবেলা থেকেই শরীরের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়নি। পরিবার চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর, বর্ধমান, কলকাতা— এমনকি ভিন রাজ্যেও তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা কেবল অল্প বয়সে সম্ভব ছিল। দেরি হয়ে যাওয়ায় আর কিছু করা যাবে না। তবে, আজ রাজু সব প্রতিকূলতাকে জয় করে টোটো চালিয়ে সংসার চালাতে চান। যাত্রীরা তাঁর চেহারা দেখে ভরসা করতে পারেন না। এমনকি টোটো স্ট্যান্ডের অন্য চালকেরাও তাঁর টোটোয় যাত্রী তোলায় বাধা দেন বলে অভিযোগ। ফলে তাঁর পথ আরও কঠিন হয়ে উঠছে। জীবিকার লড়াইয়ের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠাও এখন রাজুর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
