পুজোয় বাড়তি আয়ের আশায় নেকড়ে, শেয়াল, সাপের ভয় উপেক্ষা করে জঙ্গলে ওঁরা

দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: দুর্গাপুজোর আগে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) কাঁকসার জঙ্গলমহলে অন্যরকম ব্যস্ততার ছবি ধরা পড়ল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নেকড়ে, শেয়াল আর বিষধর সাপের ভয় উপেক্ষা করে জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করেন স্থানীয় আদিবাসীরা। এরপর সেই শালপাতা বুনে থালা, বাটি তৈরি করেই রোজগারের পথ দেখেন আদিবাসী মহিলারা। পুজোয় শালপাতার থালা, বাটির চাহিদা একধাক্কায় বেড়ে যায় অনেকখানি। তাই দু পয়সা বাড়তি রোজগারের আশায় জঙ্গলমহলের ৮ থেকে ৮০, সবাই রাতদিন বুনে চলেছেন হাজার হাজার শালপাতার থালা।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
কাঁকসা ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের একাংশের আদিবাসীদের রোজগারের একমাত্র পথ শালপাথার থালা, বাটি তৈরি করা। দুর্গাপুজোয় বাড়তি থালা, বাটির জোগান দিতে জঙ্গলমহলে পুজোর আগে বাড়তি রোজগারের আশায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলারা। বন দফতর সূত্র জানা গিয়েছে, জঙ্গলে নেকড়ে, শেয়াল, সাপের সংখ্যা বেড়েছে। তবুও এই ঘন জঙ্গলেই থালা, বাটি তৈরির কাঁচামাল শালপাতা পাওয়া যায়। তাই ঝুঁকি সত্বেও তাঁরা বাধ্য হয়ে জঙ্গলের গভীরে গিয়ে শালপাতা সংগ্রহ করে আনেন। তবে আদিবাসী মহিলাদের অভিযোগ, শালপাতা সংগ্রহ ও থালা তৈরি করতে যত পরিশ্রম হয়, তার তুলনায় আয় কম। তবে বিকল্প জীবিকার অভাবে এই শিল্পই তাঁদের একমাত্র ভরসা। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
