দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে বাংলা বনধ ঘিরে বিজেপি তৃণমূল ধুন্ধুমার কান্ড। বিজেপি জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। বাস চলাচল বন্ধ করার চেষ্টাও করে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল বাধা দেয়। বিজেপির কর্মীদের পিছু পিছু তৃণমূলের কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে এগোতে থাকেন। সব মিলিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বেনাচিতি বাজারে।
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপির বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের নেতৃত্বে বনধের সমর্থনে চলছিল মিছিল। বনধের বিরুদ্ধেও মিছিল করছিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তখনই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের বচসা। বচসা থেকে হাতাহাতি। জোর করে বিজেপি দোকান বন্ধ করতে গেলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ভিড়িঙ্গিতে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তোলে বিজেপি। লাঠি নিয়ে তাড়া করতে দেখা যায় তৃণমূলকে। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই সহ বহু কর্মী এমন কি মহিলাদেরও মারধর করা করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “আর জি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান চলছিল। রাজ্যের মানুষ দেখেছে পুলিশের অতি সক্রিয়তা এবং বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, বিনা কারণে গ্রেফতার। তার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা বনধ চলছে। সেই বনধের সমর্থনে আমাদের মিছিল চলছে। মানুষ আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন করছে। সেই রাগে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের উপরে চরম আক্রমণ চালিয়েছে তৃণমূল।”
অন্যদিকে দুর্গাপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি রাজু সিংহ পাল্টা অভিযোগ করেন, “বিজেপিকে কেউ সমর্থন করছে না। জোর করে দোকান এবং বাস বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের উপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপির কর্মীরা। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখছে আমাদের কর্মীরা। জনজীবন একেবারেই স্বাভাবিক।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।