
দুর্গাপুর: গার্জেন কলের ভয়ে ফিনাইল খেলো দুই ছাত্রী! ভয়াবহ ঘটনা দুর্গাপুরে। অসুস্থ দুই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার এমএমসি মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া নুসরত জাহান ও দীপান্বিতা দত্ত। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে ওই দুই ছাত্রীর নামে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ জমা পড়ছিল। মঙ্গলবার ওই দুই ছাত্রীকে ডেকে অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর চেয়ে নেন ওই শিক্ষিকা।
স্কুল ছুটির সময় শৌচালয়ে যায় ওই দুই ছাত্রী। অভিযোগ, শিক্ষিকা অভিভাবকদের ফোন করবেন, সেই ভয়ে দীপান্বিতা সহপাঠী নুসরতকে ফিনাইল খাইয়ে দেয়। নুসরত নিজেও খানিকটা খেয়ে নেয়। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় স্কুলে। তড়িঘড়ি তাদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীপান্বিতার কাকা দুলাল দত্তের অভিযোগ, “ওরা তো এখনও বাচ্চা। মাথার মধ্যে অনেক কিছু আসতে পারে। আমরা তাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে বললাম ফিনাইলগুলো অন্য জায়গায় রাখার দরকার ছিল।”
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, “ওরা কয়েকদিন ধরে দুষ্টুমি করছিল। তাই ওদের ডেকে ওদের অভিভাবকদের নম্বর চেয়েছিলেন শিক্ষিকা। স্কুল ছুটির সময় শৌচালয়গুলি পরিষ্কার করা হয়। একটি ফাঁকা ফিনাইলের বোতল ছিল। সেই বোতলে জল ভরে একজন আরেকজনকে খাইয়ে দেয়। কোন বাচ্চা যদি দুষ্টুমি করে তাহলে তার পরিবারকে যদি না জানানো হয় তাহলে পরে তাদের পরিবারের লোক আমাদের দোষ দেবেন। এটুকুও করা যাবে না? দুজনকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মন্ডল বলেন, “দুই ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। ফিনাইল খেয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। চিকিৎসা চলছে। অবস্থা স্থিতিশীল।” চিকিৎসার পরে দুই ছাত্রীকেই এদিন সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
