উখড়ার বিস্ময় বালক সৌরিশ, নিজেই প্রতিমা গড়ে দুর্গাপুজোর আয়োজন

আট বছর বয়সে শুরু
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কয়লা খনি অঞ্চলের উখড়া এলাকায় ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বয়স মাত্র ১২, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র—কিন্তু ভক্তি আর নিষ্ঠায় তিনি যেন অনেক বড়। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে আসছে সৌরিশ। আজ টানা পাঁচ বছর ধরে নিজের হাতে প্রতিমা গড়ে, মণ্ডপ সাজিয়ে, সঠিক মন্ত্রোচ্চারণে দেবী দুর্গার পুজো করে আসছে এই বিস্ময় বালক।
বাবা রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের কর্মী। মা শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় গৃহবধূ। তাঁদের একমাত্র ছেলে সৌরিশ, ছোট থেকেই অন্য বাচ্চাদের থেকে আলাদা। পড়াশোনায় মেধাবী সৌরিশ অবসরে আঁকাআঁকি, হাতের কাজ আর পূজা-আর্চনায় ডুবে থাকে। ঠাকুমা ও পরিবারের প্রবীণদের মুখে পৌরাণিক কাহিনি শুনে শুনে তার মধ্যে ভক্তিভাব জেগে ওঠে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথমদিকে ঠাকুমাই তাকে প্রতিমা গড়ার জন্য মাটি এনে দিতেন। তিন বছর ধরে মাটির প্রতিমা বানিয়ে পুজো করেছে সে। পরে কাগজ কেটে রংতুলির ছোঁয়ায় দুর্গা প্রতিমা তৈরি শুরু করে। শুধু দুর্গাপুজো নয়, গত বছর থেকে সরস্বতী, বিশ্বকর্মা ও কালীপুজোও নিজের হাতে প্রতিমা বানিয়েছে সৌরিশ। পরিবারের সকলে তাকে সাহায্য করে। তবে মূল উদ্যোগ যা সামলানোর তা একাই সামলায় এই ছোট্ট পুরোহিত!
এই বছর পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করছে সৌরিশের দুর্গাপুজো। এবার সে কাগজ দিয়ে এক ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা গড়েছে। তাতে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ—সকলেই উপস্থিত। কাপড় আর প্লাইউড দিয়ে ছাদে মণ্ডপও বানিয়েছে সে। ফুল, ফল, প্রসাদ আর ভোগ—সব কিছুতেই সৌরিশের যত্নের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। সৌরিশের এই ব্যতিক্রমী প্রতিভা আর অগাধ ভক্তি দেখে গর্বে আপ্লুত তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। প্রযুক্তি-নির্ভর এই প্রজন্মের সৌরিশ, ভক্তি আর নিষ্ঠা দিয়ে পূজার্চনায় নিজেকে নিয়োজিত করে যেন নতুন এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে! (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
