জেলে গিয়ে অপরাধীদের সনাক্ত করলেন মেডিকেল কলেজের নির্যাতিতা ছাত্রী

জেলে গিয়ে অপরাধীদের সনাক্ত করলেন মেডিকেল কলেজের নির্যাতিতা ছাত্রী
WhatsApp Group Join Now
Instagram Group Join Now

প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলল সনাক্তকরণ পর্ব

সুজয় ভট্টাচার্য, দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: গত ১০ অক্টোবর রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ বিজড়া ডাঙাপাড়ার শেখ রিয়াজউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ, নাসিরুদ্দিন শেখ ওরফে সম্রাট, সফিক শেখ এবং বিজড়া বাউড়িপাড়ার অপু বাউড়িকে গ্রেফতার করে। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী তাঁর সহপাঠী মালদার ওয়াসিফ আলির সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তার পাশের জঙ্গলে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। ওই মামলায় ঘটনার দিন তিনের পরে গ্রেফতার করা হয় সহপাঠী ওয়াসিফকেও।

তাদের সবাইকে প্রথমে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এদের মধ্যে দু’জন শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ সফিক ২০ অক্টোবর দুর্গাপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয়। তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার নিউ টাউনশিপ থানা থেকে নাসিরুদ্দিন শেখ, ফিরদৌস শেখ, অপু বাউড়ি এবং সহপাঠী ওয়াসিফ আলিকে ফের আদালতে তোলে পুলিশ। ওয়াসিফের হয়ে একজন আইনজীবী তার জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু সরকার পক্ষের আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন।

(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472) 

বাকিদের হয়ে স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির পক্ষ থেকে আইনজীবী পূজা কুড়মি দাঁড়ান। বিচারক তাদের ৪ জন এবং জেল হাজতে থাকা বাকি ২ জন, সবার জামিন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। ২৭ অক্টোবর ফের তাদের আদালতে তোলা হবে। একই সঙ্গে বিচারক জানিয়ে দেন, ২৪ অক্টোবর টিআই প্যারেড হবে। অভিযুক্তদের সেদিন নির্যাতিতার মুখোমুখি করা হবে। নির্যাতিতা তাদের সনাক্ত করবেন।

সেই মতো ফুলঝোড়ের দুর্গাপুর উপ সংশোধনাগারে শুক্রবার টিআই প্যারেডের ব্যবস্থা করে পুলিশ। কড়া পুলিশি প্রহরায় সংশোধনাগারে আনা হয় নির্যাতিতাকে। দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেক পরে আসেন ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর ভিতরে শুরু হয় টিআই প্যারেড। জানা গিয়েছে, ঘন্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চলে সনাক্তকরণ পর্ব। পুলিশ এই রিপোর্ট আদালতে পেশ করবে।

ধৃতদের কার কী ভূমিকা, তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে তা মোটামুটি ভাবে স্থির করে ফেলেছেন তদন্তকারীরা। এবার নির্যাতিতা সনাক্ত করলে তা আরও পোক্ত হয়ে যাবে। চার্জশিট পেশের পরে মামলা দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হবে। নির্যাতিতার আইনজীবী পার্থ ঘোষ বলেন, সহপাঠী যেহেতু আগে থেকেই চিহ্নিত তাই সে বাদে বাকি ৫ জনকে এদিন দাঁড় করানো হয় নির্যাতিতার সামনে। তাদের সঙ্গে আরও অপরিচিত কয়েকজনকেও দাঁড় করানো হয় যাতে কোনও ত্রুটি না হয়ে যায়। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে বাকিটা জানতে পারব। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)

Published By
error: Content is protected !!