দণ্ডি কেটে রানীগঞ্জ থেকে তারকেশ্বর যাচ্ছেন বক্তারনগরের যুবক

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: দণ্ডি কেটে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার রানীগঞ্জ থেকে হুগলীর তারকেশ্বর যাচ্ছেন বক্তারনগরের যুবক সৌরভ পাল। ‘ভোলে বোম’ ধ্বনি দিতে দিতে জাতীয় পতাকা নিয়ে তিনি দণ্ডি কেটে রওনা দিয়েছেন তারকেশ্বরের মহাদেবের চরণে পৌঁছাতে। হিন্দুত্বের প্রকৃত বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে তিনি এভাবেই তারকেশ্বর যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে দেশপ্রেমের বার্তাও দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সৌরভ।
শ্রাবণ মাস মানেই তারকেশ্বরে উপচে পড়া ভক্তের ভিড়। ভোলেবাবার টানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন তাঁকে দর্শন করতে। সৌরভও যাচ্ছেন। তবে সঙ্গে ধর্ম ও দেশপ্রেমের বার্তা নিয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রা শুরু করেন সৌরভ। সঙ্গে আরও দুজন সাথী, যাঁরা তাঁর এই কর্মকান্ডের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছেন। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দণ্ডি কেটে কেটে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা পৌঁছান দুর্গাপুরের দুবচুরুরিয়া এলাকায়।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
সেখানকার এক শিবমন্দিরে রাত্রিযাপন করেন তাঁরা। গ্রামের মানুষজন তাঁদের আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানান। শুক্রবার ভোরে ফের যাত্রা শুরু হয়েছে। পরবর্তী গন্তব্য পানাগড়। ঝড় হোক, বৃষ্টি হোক বা রোদ্দুর— কিছুই থামাতে পারছে না সৌরভকে। তাঁর অঙ্গীকার একটাই— রাঢ়বঙ্গের মাটি থেকে দণ্ডি কেটে পৌঁছে যেতে হবে তারকেশ্বর মহাদেবের চরণে।
সৌরভ বলেন, “চারিদিকে হিন্দুত্ব নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে। এই বিভ্রান্তির সময়ে আমি চাই মানুষের মধ্যে হিন্দুত্বের প্রকৃত বার্তা পৌঁছে দিতে। আমি শিবভক্ত। জাতীয় পতাকা নিয়ে দণ্ডি কেটে ১৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছি। পথে হিন্দু ধর্মের শক্তি ও ঐতিহ্য প্রচার করছি। মানুষ সহযোগিতা করছেন।” স্থানীয় বাসিন্দা বলরাম চংদার বলেন, “এই প্রথম আমরা নিজের চোখে দেখলাম, কেউ দণ্ডি কেটে তারকেশ্বর যাচ্ছেন। শুনেছি অনেকেই করেন, কিন্তু সামনে থেকে দেখা এই অভিজ্ঞতা অনন্য। এটাই আসল ভক্তি। আমাদের এলাকায় এসে মন্দিরে থেকেছেন, আমরা তাঁদের সাহায্য করতে পেরে ধন্য হয়েছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)

