অ্যাম্বুল্যান্স উদ্বোধনের সুযোগ পেয়ে কেঁদে ফেললেন পুত্র হারা আদিবাসী মহিলা

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার কাঁকসায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন দিনমজুর আদিবাসী মহিলা। এমন সুযোগ পেয়ে তিনি আর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। কেঁদে ফেললেন। অনেক চেষ্টা করেও পৌঁছায়নি অ্যাম্বুলেন্স। চিকিৎসার অভাবে ২০২৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছিল আদিবাসী যুবক সুনীল মুর্মুকে। চিকিৎসার অভাবে ফের যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য উদ্যোগী হন এলাকার যুবক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাক্তন সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন লিমিটেড এর তরফ থেকে জোড়া অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হল কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহায়। চিকিৎসার অভাবে মৃত যুবক সুনীলের মায়ের হাত ধরেই উদ্বোধন হল দুটি অ্যাম্বুলেন্সের। ভবিষ্যতে কোনও মাকে যাতে চিকিৎসার অভাবে সন্তানকে হারাতে না হয় সেই অঙ্গীকারও নেওয়া হয় এদিন।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার উপস্থিতিতে পতাকা দেখিয়ে এই অ্যাম্বুলেন্স দুটির উদ্বোধন করেন পুত্র হারা মা মনি মুর্মু। উদ্বোধন করেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মনিদেবী। জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতের একটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। সেই অ্যাম্বুলেন্স কোনদিন মানুষের কাজে লাগে না। ২০২৪ সালে আমাদের এলাকার আদিবাসী যুবক সুনীল মুর্মুকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল শুধু অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে। প্রায় ৩০লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্স চালু হল এদিন। উপকৃত হবে আদিবাসী অধ্যুষিত গোটা এলাকার মানুষ।” ( বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

