
দুর্গাপুর দর্পণ, ২৯ মে ২০২৪: পঞ্চায়েতের বাগান থেকে গড়ায় না সাংসদ তহবিলের অ্যাম্বুলেন্সের চাকা। সাপে কাটলে বা প্রসব যন্ত্রনায় কাতর মায়েরা বঞ্চিত থাকেন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে। মোটর ভ্যান বা অটো-টোটোতে চাপিয়ে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। ক্ষোভ বাড়ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) বিদবিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের মধ্যে। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ২০১৪ সালে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৎকালীন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতকে একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স দেন। বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা পেয়ে গর্ভবতী মহিলা থেকে অসুস্থ মানুষদের হাসপাতালে যেতে চরম সুবিধা হয়।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবায় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের ঠাঁই হয়েছে পঞ্চায়েতের বাগানে। সূত্রের খবর, আর্থিক সংকটের কারণে পঞ্চায়েত চালকের বেতন বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু রুইদাস দাবি করেন, তাঁরা দিনমজুর। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আগে সাংসদের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সই ভরসা ছিল। মোটা টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারেন না তাঁরা। তাছাড়া প্রান্তিক এলাকায় ওই রকম কোনও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সও নেই।
তাঁরা জানান, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স একমাত্র ভরসা এখন। সেই অ্যাম্বুলেন্স আসতে আসতে কখনো দু’ঘণ্টা আবার কখনও তিন ঘন্টা সময় লেগে যায়। রাতে প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা উঠলে তীব্র সমস্যার মুখে পড়তে হয়। দ্রুত যাতে সাংসদের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স চালু হয় সেই দাবি তুলেছেন। রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, তিনি বিষয়টি জানতেন না। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য ওই এলাকা থেকেই জয়লাভ করে সভাপতি হয়েছেন। তাঁর কাছে বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান মন্ত্রী। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।