অমৃত বচন: একটি মাত্র কুপুত্র সমগ্ৰ কুলকে ধ্বংস করতে পারে…(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)
অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ: স্বামী জ্ঞানলোকানন্দজী “সুভাষিতে জীবনগড়া” গ্ৰন্থে লিখছেন—একনাপি কুবৃক্ষেণ কোটরস্থেনা বহ্নিনা। দহ্যতে তদ্বনং সর্বং কুপুত্রেণ কুলং যথা।(চাণক্য)—একটি মাত্র কুবৃক্ষ বা ক্ষতযুক্ত বৃক্ষের কোটরস্থ বহ্নি যেমন সমগ্ৰ বনকে ভস্মীভূত করে দেয়, ঠিক তেমনই একটি মাত্র কুপুত্র সমগ্ৰ কুলকে ধ্বংস করতে পারে।
“কুসঙ্গত্বে কুবুদ্ধি স্যাৎ কুবুদ্ধেশ্চ কুচেষ্টিতম্। কুচেষ্টাতো ভবেৎ প্রাণী বিপদাং ভাজনং পুনঃ।।—কুসঙ্গ করলে কুবুদ্ধি হয়। কু-বুদ্ধি কু-কাজের জন্ম দেয়। কু-কাজের অবশ্যম্ভাবী ফল বিপদগ্ৰস্ত হওয়া। “দুর্জনঃ পরিহর্তব্যো বিদ্যয়ালঙ্কৃতোহপি সন্। মণিনা ভূষিতঃ সর্পঃ কিমসৌ ন ভয়ঙ্করঃ।।
বিদ্যায় বিভূষিত হলেও দুর্জনকে পরিত্যাগ করাই উচিত, কারণ যে সর্পের মস্তকে মণি শোভা পায় সে কি অতি ভয়ঙ্কর হয় না ? অহো দুর্জনসংসর্গান্ মানহানি পদেপদে। পাবকো লোহসঙ্গেন মুদ্গরৈরভিহন্যতে।। ‘দুর্জনসংসর্গে পদে পদে মানহানি হয়। আগুন লোহার সঙ্গ করলে কর্মকার কর্তৃক মুগুরের আঘাত লাভ করে।’অসতের সঙ্গ করলে সাধুপুরুষগণের মধ্যেও বিকৃতি দেখা দেয়। যেমন দুর্যোধনের সঙ্গ করে ভীষ্মের গোহরণে প্রবৃত্তি হয়েছিল।’