অমৃত বচন: তবে সে অন্যের ধর্মকেও সত্য বলে না মেনে থাকতে পারে না… (সংকলক: সন্দীপ সিনহা)
প্রবেশপত্র পাননি! স্বামী সুবীরানন্দ লিখছেন, শ্রী রামকৃষ্ণের সাধনের ফলশ্রুতি হিসেবেই আমরা অন্তরে অন্তরে বিশ্বাস করি যে—সকল ধর্মই সত্য। সকল ধর্মপথ, ধর্মমত আন্তরিকভাবে অনুসরণ করে সেই এক ঈশ্বরের কাছেই পৌঁছানো যায়। সকল ধর্মের সর্বোচ্চ যে অনুভূতি তা বাক্যমনাতীত। এই অনুভূতির রাজ্যে সব শেয়ালের এক রা।
এই চরম অনুভূতি লাভের জন্য আমাদের এমন একটি জীবন যাপন করতে হবে, যে জীবনের মূল ভিত্তি হবে ত্যাগ ও সেবা, যে জীবনসৌধের স্তম্ভগুলি হবে সত্য, অহিংসা এবং ইন্দ্রিয়সংযম। ধর্মের নামে হানাহানির অর্থ হলো প্রকৃত ধর্মীয় অনুভূতির রাজপথ থেকে যোজন দূরে দাঁড়িয়ে থাকা। যে নিজের ধর্মে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে সে যদি সত্যিই অনুভূতি সম্পন্ন হয় তবে সে অন্যের ধর্মকেও সত্য বলে না মেনে থাকতে পারে না।
যিনি অপরের ধর্মকে ঘৃণা করেন বুঝতে হবে তিনি অনুভূতির রাজপ্রাসাদের প্রবেশপত্র এখনো হাতে পাননি। ভিখারির মতো প্রাসাদের বাইরেই কেবল দাঁড়িয়ে আছেন। রামকৃষ্ণ সঙ্ঘে সকল ধর্মের আচার্য বা নবীদের জীবন ও বাণীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে কোন পক্ষপাতিত্ব করা হয় না। সকল ধর্মসম্প্রদায়েরই মরমী সাধকদের আমাদের আপন বলে বোধ হয়।