অমৃত বচন: ধ্যানপরায়ণ জীবন যাপন করতে পারলে কী কী হয়?
চিরন্তন প্রকাশ: নিত্যবস্তুর সন্ধান পেলে বাহ্যিক পরিবেশ বা অবস্থা মনকে বিচলিত করতে পারে না। ঈশ্বরের চিরন্তন প্রকাশ জীবনে সত্য বলে উপলব্ধি হলে চরম দুঃখের মধ্যেও শক্তি ও প্রেরণার অভাব হয় না। চৈতন্য শক্তি সর্বদাই জড়ের উপর প্রভুত্ব করে। ধ্যানপরায়ণ জীবন যাপনের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যবোধ গড়ে ওঠে এবং চরিত্রে সাত্ত্বিক গুণের প্রকাশ ঘটে। জাগতিক ব্যাপার তখন মনকে আর বিচলিত করতে পারে না। যেসব বিষয় দ্বারা মন বিব্রত হয় সে সকল তুচ্ছ বলে মনে হয় এবং তা নিঃশেষে উধাও হয়ে যায়।
এই পৃথিবীটা তখন স্বর্গলোকে রূপান্তরিত হয়। মানুষই এই জগৎকে স্বর্গে পরিণত করে। সে তার উন্নত স্বভাব এবং মহত্ চিন্তার দ্বারা এই বিশ্বকে পরিবেশ পরিবর্তন করতে পারে। দৈবীসত্তার অস্তিত্ব এই দেহমন্দির ছাড়া আর কোথায়? নিজের ভিতর ছাড়া আর কোথায় পাব সেই অন্তঃশক্তির সন্ধান?
তাঁর সন্ধান তখনই পাওয়া যায় যখন আমাদের চিত্ত নীরব ও একাগ্ৰ হয়। শাস্ত্রপাঠ বা সাধন-ভজনের লক্ষ্য হলো সত্রূপের প্রত্যক্ষ জ্ঞান লাভ করে সত্ জীবনযাপন করা। আদর্শের উপলব্ধি না হলে বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠান বৃথা। ঈশ্বরের অস্তিত্ব সদা বর্তমান এই বোধ যেন সদা জাগ্রত থাকে। (সংকলক: সন্দীপ সিনহা) #amritabachan