নিজেকে উদ্ধার: ভাগ্য ও পুরুষকার এই দুইয়ের মধ্যে বর্তমানে আমরা ভরসা করতে পারি পুরুষকার বা নিজের চেষ্টার উপর। সমাজে অনেক ভাল লোক আছে যাদের সাহায্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। কিন্তু যদি এমন পরিস্থিতি আসে যে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না তখন নিজের উপর ভরসা করেই এগোতে হবে। আনন্দময় সময়ের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকা নয়, বর্তমান সময়কেই আনন্দময় করে তুলতে হবে।
একাজ কঠিন হলেও আমাদের জীবনের সমস্যা নিজেকেই সমাধান করতে হবে। অন্যেরা সান্ত্বনা দেবে, সাহস দেবে, তত্ত্ব শোনাবে, পথ দেখাবে। কিন্তু সমাধান করতে হবে নিজেকেই। আধ্যাত্মিক জগতেও একই নিয়ম। শাস্ত্র, গুরু, ট্র্যাডিশন থেকে আমরা যা শিখব, সবই সেকেণ্ডহ্যাণ্ড জ্ঞান। এটা ধর্ম হতে পারে কিন্তু আধ্যাত্মিকতা নয়। আধ্যাত্মিকতার ভিত্তি জ্ঞান নয়, প্রজ্ঞা, নিজস্ব উপলব্ধি। নিজের রূপান্তর নিজেকেই করতে হবে।
গুরু, শাস্ত্র, আলোচনা আমাদের পথ দেখাবে। কিন্তু চলতে হবে নিজেকেই। প্রতিকূল পরিবেশের অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে কিছু পাওয়া যাবে না। অতএব চরৈবেতি চরৈবেতি। গীতায় বলা হয়েছে নিজের চেষ্টায় উঠে দাঁড়াও, নিজেকে অধোগামী করো না। (সংকলক: সন্দীপ সিনহা)