বেঙ্গালুরুর জল সঙ্কট নিয়ে দুর্গাপুর দর্পণের জন্য বেঙ্গালুরু থেকে লিখলেন শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়।এই গ্রীষ্মে বেঙ্গালুরু প্রবল জলসঙ্কটের সম্মুখীন। এখনও গ্রীষ্মকাল তার প্রখর রূপ ধারণ করেনি। কিন্তু এরই মধ্যে বেঙ্গালুরু ও তার আশপাশের এলাকা প্রবল জলসংকট এর সম্মুখীন হয়েছে। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর মোট জনসংখ্যা প্রায় ১.৫ কোটির কাছাকাছি। এই পরিমাণ জনসংখ্যার জন্য বেঙ্গালুরুতে জলের চাহিদা দৈনিক ২৮০ কোটি লিটার।
অথচ বেঙ্গালুরুকে এখন প্রায় এর অর্ধেক পরিমাণ জলেই নিজস্ব দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। এই প্রবল জলসংকটের কারণ হচ্ছে, মূলত অনাবৃষ্টি এবং ক্রমাগত জলের স্তর নেমে যাওয়া। জলস্তর নেমে যাওয়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে নগরায়ন এর জন্য নির্বিচারে প্রাকৃতিক জলসম্পদ এর ব্যবহার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টি ও প্রখর তাপের কারণে জলস্তর হুহু করে নেমে যাওয়া।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
বলা বাহুল্য, এই তীব্র জল সংকটে বিপাকে পড়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। সবার আশঙ্কা, হয়তো বেঙ্গালুরু অচিরেই ‘ডে জিরো’-র সম্মুখীন হবে! কারণ, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বাড়ছে এই শহরে।জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলের চাহিদা। বর্তমানে মেট্রো এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি। ২০২৩ সালে তা ছিল ১ কোটি ৩৬ লক্ষের কাছাকাছি। ২০২২ সালে মেট্রোর জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৩২ লক্ষ।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
সাউথ আফ্রিকার তিনটি রাজধানী শহরের অন্যতম হল কেপটাউন। সেই কেপটাউন শহর তীব্র জলসঙ্কট এর কারণে ‘ডে জিরো’-র সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু শহরবাসী ও সরকারের মিলিত প্রচেষ্টার ফলে কেপটাউন জল সংরক্ষণের নানা উপায় কার্যকরী করে সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। এখন দেখা যাক বেঙ্গালুরুর ভাগ্যে কি ঘটে! তবে, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বেঙ্গালুরুবাসী এবং সরকারের মিলিত প্রয়াসে বেঙ্গালুরু এই সংকটের হাত থেকে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।