সুখবর! সিটি সেন্টারের ভুতুড়ে ডিয়ার পার্কের জায়গায় গড়ে উঠছে নতুন পার্ক

প্রায় দুই দশক পরে শুরু হল উদ্যোগ
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: প্রায় দুই দশক পরে নতুন মোড়কে খুলতে চলেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বন্ধ ‘ডিয়ার পার্ক’। সেখানে এবার গড়ে তোলা হচ্ছে শিশু উদ্যান। শনিবার বিকেলে কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) চেয়ারম্যান কবি দত্ত, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, পুর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। এডিডিএ ও একটি বেসরকারি রড উৎপাদনকারী সংস্থা যৌথভাবে এই শিশু উদ্যান তৈরি করছে। নতুন পার্কের নাম দেওয়া হচ্ছে, ‘শিশু সাথী’।
সিটি সেন্টারের প্রায় ছ’একর জমিতে ১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিটি সেন্টারে ডিয়ার পার্কের উদ্বোধন করেন রাজ্যের তৎকালীন নগর ও পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী ভোলানাথ সেন। ২২টি হরিণ ছাড়া হয় পার্কে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল এক বেসরকারি সংস্থা। ২০০৩ নাগাদ পার্ক থেকে ২১টি হরিণ উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই সময় জানাজানি হয় যে পার্কটি সেন্ট্রাল জ্যু অথরিটির অনুমোদন ছাড়াই চলছে। অবিলম্বে পার্কের বাকি হরিণগুলিকে পুনর্বাসনের নির্দেশ দেয় সেন্ট্রাল জ্যু অথরিটি। বন দফতর পার্কে থাকা বাকি ১৮টি হরিণকে নিয়ে গিয়ে বাঁকুড়ার সুতানের জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। ২০০৬ সালে পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যায় ডিয়ার পার্ক।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
কিছুদিনের মধ্যেই পার্ক আগাছা ও জঙ্গলে ভরে যায়। দুষ্কৃতীদের নজরে পড়ে বন্ধ পার্কটি। পার্কের লোহার গেট, রেলিং থেকে শুরু করে পাঁচিলের ইট নিয়ে চলে যায় তারা। অবশেষে সেই পার্কে শিশু উদ্যান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এডিডিএ। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান কবি দত্ত জানান, ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা খরচ করে পার্কটি তৈরি করা হবে। একটি সংস্থা পার্কের পরিকাঠামো তৈরি করবে। ছয় মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে বাচ্চাদের জন্য খেলার মাঠ, বিভিন্ন ধরনের রাইড থাকবে। বেশ কিছু বিদেশি পাখি থাকবে। ক্যাফেটেরিয়া থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য বসার এবং হাঁটার ব্যবস্থা থাকবে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
