পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিবের ধমকের পরেও রাস্তার কাজ হচ্ছে না মলানদিঘীতে

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: কিছুদিন আগে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে উন্নয়ন নিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব পি উল্গানাথনের কাছে ধমক শুনতে হয়েছিল কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্যকে। তারপরেও তাঁর হুঁশ ফেরেনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রায় এক বছর আগে টেন্ডার হওয়ার পরেও মলানদিঘীতে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্য।
মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের মলানদিঘী গ্রামের এক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সেই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতর। প্রায় ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার টেন্ডার হয়। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে এই রাস্তা হওয়ার কথা ছিল। প্রায় এক বছর পেরিয়েছে। কিন্তু সেই রাস্তা নির্মাণই হয়নি। জল, কাদায় ভরা সেই রাস্তায় যাতায়াত করতে নাজেহাল দশা স্থানীয়দের। পাশে জঙ্গল থাকায় সেই কাদাময় রাস্তা পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকছে বিষাক্ত পোকামাকড়, সাপ। ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন স্থানীয়রা।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
কিছুদিন আগে দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে কয়েকটি জেলাকে নিয়ে বৈঠক হয়। সেই সভায় কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য নিজের এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গেলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব পি উল্গানাথন তাঁকে ধমকে বলে ওঠেন, ‘আগে উন্নয়ন করুন। তারপর আপনার কথা শুনব।” মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিভাস ঘোষের অভিযোগ, “গত বছর বর্ষার সময় এই রাস্তার টেন্ডার হয়। কিন্তু আবার বর্ষা চলে এল। তবুও রাস্তা নির্মাণ হল না। এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাকে। রাস্তা নির্মাণের জন্য বিডিওর কাছে দাবি জানিয়েছি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে জানিয়েছি। হচ্ছে হবে বলা হচ্ছে। রাস্তা আর হচ্ছে না।”
গন্ধি বাগদি নামের এক মহিলা বলেন, “আমাদের হাতগুলো নিচের দিকে আর পাগুলো উপর দিকে করে যাতায়াত করার মতো অবস্থা। ছেলেমেয়েরা কেউ স্কুলে যেতে পারছে না। দু’কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে। চরম ভোগান্তি আমাদের।” কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সর্বত্র একই অবস্থা। এই রাস্তার কাজ না হওয়ায় চরম ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। দ্রুত রাস্তা করার দাবি জানাচ্ছি।” ঠিকাদারের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “এক বছর আগে টেন্ডার হয়েছে ঠিকই। ঠিকাদার একসাথে অনেকগুলো কাজ করছে। সেই জন্য হয়তো এই সমস্যা হচ্ছে। কেন এই রাস্তার কাজ হচ্ছে না সেজন্য ঠিকাদারকে আমরা শোকজ করেছি। দ্রুত যাতে রাস্তাটি হয় সেই ব্যবস্থা করব।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

