দুর্গাপুর, ২৭ এপ্রিল ২০২৪: বর্ধমানের পর দুর্গাপুর শহরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। ঘটনাকে ঘিরে কয়েক মুর্হুতের জন্য উত্তেজনা ছড়ায় এমএএমসি এলাকায়। পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ‘ওদের শুয়োরের মতো চর্বি থলথল করছে’, পাল্টা তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ দিলীপ ঘোষের।
জানা গিয়েছে, এদিন হুড খোলা গাড়িতে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। গাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষ নেমে যাওয়ার পর, লক্ষ্মণ ঘোড়ুই-এর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য মিছিল এমএএসসিতে এসে পৌঁছায়। মিছিল তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে আসতেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবু সাঁই সহ তৃণমূল কর্মীরা। দেখানো হয় কালো পতাকা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুরের এমএএমসি এলাকায়। পাল্টা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেয় নিউ টাউনশিপ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীদের বৈঠক চলছিল। ঠিক তখনই বিরাট আওয়াজ করে লাউড স্পিকার বাজিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল বিজেপি। ওঁরা তারই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিজেপি নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, এইভাবে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে তৃণমূল তাঁদের আটকাতে পারবে না। আগামী ৪ জুন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে আবারও ফুটবে পদ্মফুল।
স্লোগান প্রসঙ্গে তৃণমূলকে চাঁচাছোলা ভাষায় দিলীপ ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষের ‘মাসল’ আছে, চর্বি নেই। আর ওদের শুয়োরের মতো চর্বি থলথল করছে। ওরা কি লড়াই করবে? ওরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে স্লোগান দিয়েছে। রোদের ভয়ে বেরোতে পারছে না। যারা হারামের মাল খেয়ে চর্বি করেছে তাদের তো রোদ লাগবেই। ভারতীয় জনতা পার্টির লোকেরা রোদে জলে লড়াই করে ‘মাসল’ বানিয়েছে।” দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের প্লাটা দেবব্রত সাঁই বলেন, শুয়োরের গোত গোত আওয়াজ উঠে। উনি ও শুয়োরের মতো কথা বলেন। এলাকায় এলাকায় শুয়োরের পালের মতো ঢুকে ভালো সমাজকে নষ্ট করে।” তৃণমূল মানুষের পাশে থাকে আর ওঁরা শুধুই সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।