“মনোজিৎকে পুরস্কার দেওয়া উচিত, অনুব্রত যা বলেছে তা ও করে দেখিয়েছে!”—সরকারকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: “যে গুলি চালিয়েছিল তাকে শহীদ মঞ্চে বসিয়ে সম্মান দেওয়া হয়, আর যারা সত্যিই শহীদ হয়েছেন, তাঁদের কোনও সম্মান দেওয়া হয় না। এই সরকার অপদার্থ”—সকাল সকাল ডুগডুগি বাজিয়ে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দান থেকে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, “তাই ডুগডুগি বাজিয়ে সমাজকে জাগ্রত করছি।”
চা চক্র সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই সরকারের অপশাসনের ফলে রাজ্যের মহিলারা রাস্তায় নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছেন না। তৃণমূলের মহিলা গুন্ডারা এখন প্রাক্তন সিপিএম নেতাদেরও মারধর করছে। আমার পিছনেও লাগতে এসেছিল কিন্তু পারেনি। তাই আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলের শহীদ দিবসের দিন আমাদের উত্তরকন্যা অভিযান হবেই। যোগদানও করাবো। রাজ্য একের পর এক অপকর্ম ঘটছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আন্দোলন করতে গেলে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশই একের পর এক অপকর্ম ঢাকা দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচন হয় না। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে সেগুলি। মদ, গাঁজার ঠেক চলে। কসবার ল’কলেজে গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা মনোজিৎ মিশ্র। তাকে পুরস্কার দেওয়া উচিত। কারণ, অনুব্রত যে কথা বলেছে সেই কাজ ও করে দেখিয়েছে!”
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরে রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দানে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাজনীতির মঞ্চ গরম করলেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, যুব নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সুমন্ত মন্ডল প্রমুখ। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় একটি মিষ্টির দোকানে তাঁরা আশ্রয় নেয়। দিলীপ ঘোষকে এবং বিজেপি কর্মীদের মিষ্টি খাওয়ান মিষ্টির দোকানদার। তারপরেই চন্ডীদাস বাজারে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। এদিন দুর্গাপুর থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর এই তীব্র আক্রমণ রাজনীতির ময়দানে আলোড়ন তুলেছে।
(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

