দুর্গাপুর: স্বামীকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিল স্ত্রী। যাবজ্জীবন সাজা দিল দুর্গাপুর আদালত। স্ত্রীর সঙ্গে স্ত্রীর দিদিকেও একই সাজা দিয়েছেন বিচারক। ২০২১ সালের মে মাসে দুর্গাপুর থানার রামানুজম রোডে কোয়ার্টারের পিছনের গাছ থেকে জানেআলম মিদ্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানে আলমের বাড়ি ছিল বিজরা এলাকায়। ওই কোয়ার্টারে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
পরিবারের তরফে তাঁকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় স্ত্রী সোফিয়া মিদ্যা ও স্ত্রীর দিদি মনুয়া মিদ্যার বিরুদ্ধে। তদন্তে নামে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, পারিবারিক বিবাদের জেরে জানে আলমকে মারধর করে মেরে ফেলে দুই বোন। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয়। বুধবার দুর্গাপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক শৈলেন্দ্র কুমার সিং সোফিয়া ও মনুয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেনব। বৃহস্পতিবার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়। সঙ্গে ৭হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
দুর্গাপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী ইমরান খান বলেন, “চার বছর ধরে জানেআলম মিদ্যার খুনের মামলা চলছিল। তার স্ত্রী ও স্ত্রীর দিদির নাম উঠে আসে। পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন করে দেহ লোপাটের তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করে পুলিশ। মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে বিচারক দুই জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দেন। এই রায়ে খুশি জানেআলমের পরিবার।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।