মোড় ঘুরে গেল দুর্গাপুরের মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ধ*র্ষ*ণের মামলায়

আদালতে গোপন জবানবন্দি দিল দুই অভিযুক্ত
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: মোড় ঘুরে গেল পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ধ*র্ষ*ণের মামলায়। ধৃত ছয় জনের মধ্যে দু’জন শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ সফিক মঙ্গলবার দুর্গাপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিল। দুর্গাপুরে মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ বিজড়া গ্রাম থেকে ফিরদৌস শেখ, রিয়াজউদ্দিন শেখ, অপু বাউরি, নাসিরুদ্দিন শেখ এবং সফিক শেখকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরার পরে এবং পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসিফ আলি। তাদের সবাইকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এরই মধ্যে ১৯ অক্টোবর পুলিশ আচমকা রিয়াজউদ্দিন ও সফিককে আদালতে হাজির করে। সেদিন তাদের ২ দিনের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। মঙ্গলবার ফের তাদের আদালতে তোলা হয়। তাদের আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেয় তারা। এদিন বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিনও দুর্গাপুর আদালতের কোনও আইনজীবী ধৃতদের হয়ে দাঁড়াননি। স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির পক্ষ থেকে আইনজীবী পূজা কুড়মি তাঁদের হয়ে আদালতে দাঁড়ান। বুধবার ধৃত ৬ জনকেই ফের আদালতে তোলা হবে।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
জানা গিয়েছে, সাধারণভাবে মনে করা হয়, গোপন জবানবন্দি দেওয়ার অর্থ, নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি একই মামলায় অভিযুক্ত বাকিদের ভূমিকা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া। এদিন রিয়াজউদ্দিন ও সফিক গোপন জবানবন্দি দেওয়ায় মনে করা হচ্ছে, তারা সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, সেই সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের ভূমিকা ঘটনার সময় কী ছিল সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এরপর হাতে থাকা প্রমাণের সঙ্গে সেই বক্তব্য খতিয়ে দেখে মিলে গেলে তদন্তের গতি এক ধাক্কায় অনেকখানি বেড়ে যাবে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )