দিনভর লড়াই! অবশেষে মিলল ১৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, কীভাবে?

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের হাডকো মোড়ের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে রাজমিস্ত্রীর হেল্পারের কাজ করতে এসেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকোড়া গ্রামের যুবক শেখ হায়দার আলী (২৫)। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ৮ আগস্ট কাজ করার সময় সেফটি বেল্ট স্লিপ করে চারতলার উপর থেকে নিচে পড়ে যান শেখ হায়দার আলী।
তাঁকে দুর্গাপুর মাহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা অবনতি হওয়ায় রাজবাঁধের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ফের তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। ক্ষতিপূরণের দাবিতে রবিবার কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের আত্মীয়-পরিজন। ঘটনাস্থলে আসে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ঠিকাদার ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। হায়দারের মৃত্যুর পর কেউ যোগাযোগ করেনি। ক্ষতিপূরণের দাবিতে এই বিক্ষোভ বলে জানান তাঁরা। খবর পেয়ে দুর্গাপুর মাইনরিটি সোশ্যাল ওয়ার্কার্স এর কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে বৃহত্তর বিক্ষোভ করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। বিকালে সংস্থার সভাপতি শেখ জাহির জানান, দীর্ঘ আলোচনা শেষে মৃতের পরিবারকে মোট ১৬,০০,০০০ টাকা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন ঠিকাদার। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১২,৫০,০০০ টাকা, চিকিৎসার খরচ বাবদ নগদ ৩,৫০,০০০ টাকা এবং শেষকৃত্যের জন্য ২০,০০০ টাকা। এর ফলে পরিবার উপকৃত হবে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
