এই বর্ষায় ফাটল ধরা স্কুলে বিপদের খাঁড়া মাথায় নিয়ে চলছে সরকারি প্রাথমিক স্কুল

দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: ফাটল ধরেছে দেওয়ালে। সেই ফাটল দিয়ে বৃষ্টির জল ঢুকছে ক্লাস রুমে। হেলে পড়েছে স্কুলের পাঁচিল। ফাটলে জর্জরিত শৌচালয়। মিড ডে মিলের হেঁসেলে ঢুকছে বিষাক্ত পোকামাকড়। আতঙ্কের মধ্যে চলছে পঠন-পাঠন। এমনই বেহাল দশা পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার কাঁকসার বিদবিহারের শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। তবুও হুঁশ নেই প্রশাসনের, অভিযোগ ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষকদের।
শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলে। পড়ুয়া রয়েছে প্রায় ১০০ জন। দ্বিতল ভবনের স্কুলের অবস্থা একেবারেই বেহাল। স্কুলের পঠন-পাঠন শুরুর আগে খুদে পড়ুয়ারা হেলে পড়া পাঁচিলের পাশেই খেলাধুলো করে। যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে। মিড ডে মিলের রান্না হয় ফাটল ধরা স্যাঁতস্যাঁতে মাটির ঘরে। মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের অভিযোগ, “ভয়ের মধ্যেই রান্না করি। কখন যে ভেঙে পড়ে দেওয়াল, তার কোনও ভরসা নেই। সেই ফাটা দেওয়ালের ভেতর দিয়ে আসছে কেঁচো, সাপ, ব্যাঙ, ছুঁচো। আমরা ঢাকা দিয়ে ভয়ের মধ্যে রান্না করি। বিষাক্ত পোকামাকড় মিড ডে মিলে পড়ে যেতে পারে বলেও আতঙ্কে থাকি। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না প্রশাসন।”
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
একাধিকবার শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে, চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকির মধ্যেই চলে পঠন পাঠন। এমনই অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক রামদাস সরেন। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের কটাক্ষ, “যাতে ছেলে-মেয়েরা সরকারি স্কুলে না যায়, তাই সংস্কার করা হয় না। সব বেসরকারিকরণ করার চেষ্টা চলছে। এই সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা বেহালই হবে।” যদিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্যের আশ্বাস, ” এই স্কুলের সমস্যার কথা শুনেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

