দুর্গাপুর: প্রীতিভোজের দিনে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলেন নব দম্পতি।মঙ্গলবার অন্ডালের বাসকা রোডের তপব্রত চক্রবর্তীর বিয়ে হয় অন্ডালের স্কুল রোডের লাবণী মজুমদারের সাথে। বৃহস্পতিবার ছিল প্রীতিভোজ। দুপুরে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার শিবিরের আয়োজন করা হয়। তপোব্রত, লাবণী ছাড়াও তপোব্রত-র বাবা তাপস, মা মানশ্রী সহ মোট প্রায় ১৫ জন মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন। এরপর মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়। অতিথিদের একটি করে চারাগাছ উপহার দেওয়া হয়। নৈশভোজেও উপস্থিত অতিথিদের চারাগাছ উপহার দেওয়া হয়। দুঃস্থদের খাওয়ানোর পাশাপাশি শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়।
দুর্গাপুর দৃষ্টিদান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফে মরণোত্তর চক্ষুদানর অঙ্গীকার শিবিরের আয়োজন করা হয়। তপোব্রত বলেন, “বহুদিনের ইচ্ছা ছিল মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার। বিয়ের প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেই মতো আজ হল। কয়েকজন অতিথিও মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন।”
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
দুর্গাপুর দৃষ্টিদান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দায়িত্বে থাকা কাজল রায় বলেন, “এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। এর আগেও আমরা বীরভূম, বাঁকুড়া পুরুলিয়াতে এরকম উদ্যোগের সাক্ষী থেকেছি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও এমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। মানুষ যে সচেতন হচ্ছেন এবং এই মহৎ কাজে এগিয়ে আসছেন, এটা দেখে খুব ভাল লাগে। আমরাও সাধ্যমতো সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করে চলেছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।