দুর্গাপুর: মন্ত্রীর দেওয়া হাই মাস্ট লাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ব্যর্থ পঞ্চায়েত! সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, তিন মাস আগে কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার তাঁর এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে একটি হাইমাস্ট লাইট দিয়েছিলেন। ব্যয় করা হয় প্রায় দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা।
মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে হাইমাস্টটি মলানদিঘি হাটতলার সামনের মাঠে বসানো হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হয়। তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও সেই লাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি। ফলে আজও সন্ধ্যার পর আঁধারে ঢেকে যায় এলাকা। সামনে দুটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। হাজার খানেক পড়ুয়া যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদেরও।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
স্থানীয় বাসিন্দা বিজু রুইদাস অভিযোগ করেন, “এই লাইটের আলো দুর্গাপুজোর আগে জ্বলার কথা ছিল। তিন মাস পেরিয়ে গেল। এখনও আলো জ্বলল না। কেন আলো জ্বলল না, সেটা আমরাও বুঝতে পারছি না। আঁধারেই যাতায়াত করতে হচ্ছে।” বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই জন্যই মন্ত্রীর দেওয়া লাইট জ্বালাতে ব্যর্থ পঞ্চায়েত। এটাই বর্তমান বাংলার আসল পরিস্থিতি। যদিও মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন,”আমি পঞ্চায়েতের সাথে কথা বলেছি। ওদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি আছে সেটা দ্রুত মিটে যাবে। দু-একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে যাবে বলেও আমি আশাবাদী।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।