রূপশ্রীতে ‘জালিয়াতি’ করেছেন প্রাক্তন প্রধান, বর্তমান উপপ্রধানের এমন অভিযোগে তোলপাড় মলানদিঘী

দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: রূপশ্রীতে ‘জালিয়াতি’! অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধান। অভিযোগকারী বর্তমান উপপ্রধান। তোলপাড় পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) কাঁকসার তৃণমূল পরিচালিত মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রধান ছিলেন পীযূষ মুখোপাধ্যায়। এখনও তিনি ইনকাম সার্টিফিকেট দিচ্ছেন, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন বর্তমান উপপ্রধান বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায়।
অভিযোগ, ২০২৪ সালের ২০ মার্চ আড়া গ্রামের বাসিন্দা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে দেওয়া ইনকাম সার্টিফিকেটে দেখা যাচ্ছে স্বাক্ষর রয়েছে পীযূষ মুখোপাধ্যায়ের। উপপ্রধান বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতে রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য একজন আবেদন করেছিল। সেই আবেদন পত্রে দেখা যায়, বর্তমান প্রধানের জায়গায় প্রাক্তন প্রধানের ইনকাম সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। আমাদের নজরে আসতেই আমরা কাঁকসার বিডিওকে এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি। সমিতির সভাপতির কথামতো আমি কাঁকসা থানার মলানদিঘী পুলিশ ফাঁড়িতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। উচ্চ নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন দাবি করে প্রাক্তন প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি কোন রকম ভাবে কাউকে জাল সার্টিফিকেট প্রদান করিনি। এই বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্ত হওয়ার দরকার আছে। তদন্তে সবরকম সাহায্য করতে আমি রাজি। আমিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করব। এই সার্টিফিকেট কোথা থেকে এলো, আমাকে কেউ কালিমালিপ্ত করতে চাইছে কি না সেই নিয়েও তদন্ত দাবি করব।” কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “তোলামূল দল তোলা তুলছে আর সই করছে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায় কাজ। তিনি যখন প্রধান ছিলেন তখন কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরূপ হয়েছে। আবাসের বাড়ি, শৌচালয় আসতো তখন টাকা নিতেন। এখন টাকা পাচ্ছেন না তাই টাকা নিয়ে সই করে দিয়েছেন। তৃণমূলের সবেতেই ছাড় আছে।” কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী। তবে ওই ছাত্রীর বাবার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
