দুর্গাপুর: পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্স আছে, তবে কখনও চোখে দেখেননি প্রধান! কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহা এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ রয়েছেন অন্তত ১০ জন। গ্রাম থেকে রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ পড়তেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার মানুষের সুবিধার্থে সাংসদ তহবিল থেকে মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ডঃ মমতাজ সংঘমিতা। কিছুদিন চলেছিল। তারপর আর খোঁজ নেই। সেই অ্যাম্বুলেন্স গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত মন্ত্রী, জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ও ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকার যুবক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাকুমনি সোরেন জানিয়েছেন, বোর্ড গঠন করার পর থেকে তিনি লোকমুখে শুনেছেন, পঞ্চায়েতের একটি অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। কিন্তু সেই অ্যাম্বুল্যাস তিনি চোখে দেখেননি। অ্যাম্বুল্যান্স থাকলে রোগীদের হাসপাতালে পাঠাতে সুবিধা হত। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “কোথায় কাটমানি চলছে সেই দিকে নজর এই সরকার আর পঞ্চায়েতের। সাধারণ মানুষকে পরিষেবার দেওয়ার সময় নেই।” যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “বিরোধী দলের লোকের কাজ হল সবকিছুতে বিরোধিতা করা। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর্থিক কারণে ও চালকের অভাবে বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সগুলি চালানো যাচ্ছে না। দ্রুত যাতে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা স্বাভাবিক হয় সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।