দুর্গাপুর: কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঢ়েশ্বর শিব মন্দিরের মাকুড়ি সপ্তমীর মেলার দখল নিল পঞ্চায়েত সমিতি! ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মলানদিঘীর পঞ্চায়েত প্রধান পাকুমনি সোরেন। মাকুড়ি সপ্তমীর মেলা কে পরিচালনা করবে তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপা দ্বন্দ্ব চলছিল। মেলার উদ্বোধনের দিন সেই দ্বন্দ্ব চলে এল প্রকাশ্যে। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য, দুর্গাপুরের প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা, মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায়, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নবকুমার সামন্ত প্রমুখ। কিন্তু ছিলেন না মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাকুমনি সোরেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
প্রধান অভিযোগ করে বলেন, “গত বছর পর্যন্ত মেলা পরিচালনা করে এসেছে মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েত। এই বছর মেলা পরিচালনা নিয়ে পঞ্চায়েতে একটি বৈঠক হয়। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য মেলা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে নিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন। তারপর একাধিকবার আমি মেলা পরিচালনা নিয়ে বৈঠক করতে চেয়েছি। কিন্তু কেউ আমার পাশে আসেননি। পঞ্চায়েত সমিতি যে মেলা পরিচালনা করবে, সে বিষয়ে বিডিও কোনও চিঠি আমাকে দেননি। শুনেছি, মেলার উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রে আমার নাম আছে। কিন্তু আমাকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানায়নি। ”
পাল্টা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্যের দাবি, “মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ি জন সদস্যের উপস্থিতি ছিল। তাঁরা কী করে খবর পেলেন? এখানে তো কাউকে ব্যক্তিগতভাবে জানানোর ব্যাপার নেই। কাউকে হুমকি দেওয়ারও ব্যাপার নেই। পঞ্চায়েত আইনে এই ধরণের মেলা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকার নিয়ম। আমাদের তরফ থেকে সমস্ত রকম ভাবেই পঞ্চায়েতের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে।”
নিজেদের দলের মধ্যেই গণতন্ত্র নেই, বাংলায় কী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? কটাক্ষ বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা। তিনি বলেন, “প্রধানের জায়গায় মেলা হচ্ছে। আমন্ত্রণ পত্রে প্রধানের নাম রয়েছে। অথচ প্রধানকে কেউ আমন্ত্রণ জানাননি। এতেই বোঝা যায়, বাংলার পরিস্থিতি কী।” দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে জবাব জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “আমাদের একটাই লক্ষ্য, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে ফের তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা করা।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।