ডায়ালিসিসের খরচ জোগাতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা, যুবকের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন বিধায়ক

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: ডায়ালিসিসের খরচ জোটাতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা। মা ও স্ত্রী দেখে ফেলায় কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। গ্রামের লোকেরা খবর দেন বিধায়ককে। বিধায়ক এসে ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করারও প্রতিশ্রুতি দেন। খুশির হাওয়া পরিবারে। বিধায়ক জানান, এটা তাঁর কর্তব্য। আগে জানলে আগেই ব্যবস্থা করতেন।
পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া গ্রামে থাকেন অনুপ দাস। প্রায় দশ বছর ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। নিয়মিত ডায়ালাসিস করতে হয়। কোনও রকমে খরচ জুগিয়েছেন এতদিন। কিন্তু আর পারছেন না। বাড়িতে রোজগেরে কেউ নেই। আর্থিক অনটন ক্রমশ অনুপকে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে। শেষ পর্যন্ত অনুপ বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
গলায় দড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করার সময় স্ত্রী ও মে দেখে ফেলেন। তাঁরা কোনও রকমে অনুপকে উদ্ধার করেন। প্রাণে বেঁচে যান অনুপ। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি গ্রামে যান স্থানীয় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। অনুপের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করেন। তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িত্ব নেন। অনুপের স্ত্রী নিবেদিতা বলেন, “আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। আমাদের আর কিছু করার ছিল না। বিধায়ক আমাদের পরিবারকে বাঁচিয়ে দিলেন।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
