দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের এনভিএফ হেডকোয়ার্টারে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে বুধবার রাতে চড়া শব্দে লাউড স্পিকার বাজিয়ে জলসা চলছিল। বাসিন্দাদের কাছে অভিযোগ পেয়ে তা বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় কোকওভেন থানার পুলিশ। ঘটনায় ৪ এনভিএফ কর্মী সহ মোট ৯জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের এক এএসআই ভর্তি রয়েছেন দুর্গাপুরের বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত বারোটা নাগাদ দুর্গাপুরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ভলেন্টিয়ার ফোর্সের (এনভিএফ) হেডকোয়ার্টারের ভেতর বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে লাউড স্পিকার বাজিয়ে জলসা চলছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে কোকওভেন থানার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এনভিএফ হেডকোয়ার্টারে পৌঁছায়। লাউডস্পিকার বন্ধ করার কথা জানাতেই পুলিশের এএসআই সঞ্জয় ঘোষের উপর মদ্যপ অবস্থায় এনভিএফ-এর কর্মীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
এরপরেই কোক ওভেন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার জন এনভিএফের কর্মী সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত এনভিএফ কর্মী শীতল দাস, নুরমান মিদ্যা, মনসা রাম সরেন, যোগেশ্বর গড়াই এবং ইলেকট্রিশিয়ান ও সাউন্ডম্যান ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায় বলেন, “বুধবার রাতে প্রচন্ড জোরে লাউড স্পিকার বাজানো হচ্ছিল এনভিএফ হেডকোয়ার্টারে। সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পৌঁছতেই মদ্যপ অবস্থায় হামলা চালায় এনভিএফএর কর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় এএসআই সঞ্জয় ঘোষকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের তদন্ত চলছে। এই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এনভিএফের আধিকারিকরা। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।