দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার আড়ায় রয়েছে প্রাচীন রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির। শিবমন্দিরের পাশে রয়েছে প্রায় ১৫একর জমি। সেখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কালদিঘি পুকুর। পুকুরের পাশে কয়েকমাস ধরে চলছে কংক্রিটের পাঁচিল দেওয়ার কাজ।
এলাকাবাসীরা পুরাতত্ত্ব বিভাগের কাছে অভিযোগ করেন। জায়গাটি বনদফতরের বলেও অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ৩ জানুয়ারি মহকুমাশাসক, কাঁকসার বিডিও, মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নোটিশ করে পুরাতত্ত্ব বিভাগের কালনা সাব-সার্কেল। স্থানীয়রা বাসিন্দারাও বিডিও ও মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ করেন।
তাঁরা জানান, যারা পুকুরের পাড়ের মাটি কেটে কংক্রিটের পাঁচিল দিচ্ছিল, তারা জানায়, সগড়ভাঙার একটি বেসরকারি কলেজের মালিক সোমনাথ চক্রবর্তী ও মালিনী চক্রবর্তী তাদের পাঁচিল দিতে বলেছেন। এখানে মেডিকেল কলেজ হবে। সোমনাথ চক্রবর্তী দাবি করেন, ওই জায়গাটি তাঁর নিজস্ব। বন দফতরের অনুমতি নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
যদিও মুচিপাড়ার রেঞ্জার সুদীপ ব্যানার্জি বলেন, “কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। বন দফতর তদন্ত করছে।’’ পুরাতত্ব বিভাগের নোটিশ ও স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে কাঁকসার বিডিও পর্না দে, মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বরূপ ব্যানার্জি, কাঁকসা থানার পুলিশ সহ হাজির হন রাঢ়েশ্বর শিবমন্দিরের সামনে। সরেজমিনে খতিয়ে দেখে কংক্রিটের পাঁচিল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। বিডিও জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছেন। সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।