চাষ করে কোটিপতি হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন অধ্যাপক দম্পতি

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: চাষ করে কোটিপতি হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের এক অধ্যাপক দম্পতি। দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যার অধ্যাপক তথা প্রো ভাইস চ্যান্সেলার ছিলেন প্রসেনজিৎ সেন। জন্ম আসানসোলে। ছোটবেলা কেটেছে দুর্গাপুরে। অবসরের পরে দুর্গাপুরের সালাপুরিয়া আবাসনে সস্ত্রীক থাকেন। তাঁর স্ত্রী নিরূপা সেনের জন্ম চেন্নাইয়ে। বেড়ে ওঠা গোরক্ষপুরে। তিনি দিল্লিতে আমেরিকান দুতাবাসে সায়েন্টিফিক অ্যাফেয়ার্স স্পেশালিষ্ট ছিলেন।
কম বয়েস থেকে দু’জনই প্রকৃতিকে ভালোবাসেন। দু’জনেই আম খেতে ভীষণ ভালোবাসেন। অবসর জীবনে তাই কাঁকসার লোহাগুড়ি গ্রামে বেশ কয়েক বিঘা জমি কিনে আমবাগান গড়ে তুলেছেন। চাষ করছেন মিয়াজাকি আমের। মিয়াজাকি আম বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমগুলির মধ্যে একটি। মূলত জাপানে উৎপাদিত হয়। এই আমের দাম প্রতি কেজি প্রায় দেড় লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, “আমাদের কোনও সন্তান নেই। আমরা দু’জন মিলে বাগান লালন পালন করি।” একই সঙ্গে দেশের মাটিতে কী ভাবে বিদেশি ফল চাষ করা যায় সেই প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন তাঁরা। আগামী প্রজন্মকে চাষে দিশা দেখাচ্ছেন ওই দম্পতি।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
লোহাগুড়ির বাগানে মিয়াজাকি আম, স্ট্রবেরি, মালবেরি, আপেল সহ নানা বিদেশি ফলের চাষ করেছেন তাঁরা। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, “ছোট থেকে আমি আম খেতে খুব ভালবাসতাম। আমাকে অনেকে আদর করে ‘আমের পোকা’ বলতেন। ছোটবেলায় সাইকেল নিয়ে দুর্গাপুরে ঘুরে বেড়াতাম। প্রকৃতির সাথে বরাবর আমার নিবিড় সম্পর্ক। গোরক্ষপুরে শ্বশুরমশাইয়ের ফলের বাগানে অনেক সময় কাটত আমার স্ত্রীর। এখন দু’জনে মিলে প্রকৃতির মাঝে বাগান নিয়ে দিন কাটাই। যাঁরা আসেন বাগানে, তাঁদের ফল খাওয়াই।”
(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

