বিশ্ব নেকড়ে দিবসে দুর্গাপুরে নেকড়ে বাঁচানোর বিশেষ উদ্যোগ

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: নেকড়ে বাঁচাতে তৎপর রাজ্যের বন বিভাগ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উইংস বন দফতরের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। মঙ্গলবার বিশ্ব নেকড়ে দিবসে নেকড়ে ও হায়নাদের অস্তিত্ব ও সংরক্ষণ নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বন সংরক্ষক (দক্ষিণপূর্ব চক্র) বিদ্যুৎ সরকার, দুর্গাপুর বন বিভাগের বনাধিকারিক অনুপম খান, বর্ধমান বনবিভাগের বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা, দুর্গাপুর বনাঞ্চলের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দফতরের কর্মীরা।
উইংস এর মতে, ধূসর নেকড়ে ও হায়না বনের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু শিল্পায়ন, খনির সম্প্রসারণ ও মানুষের অনুপ্রবেশে তাদের বাসস্থান ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। তবুও বন দফতরের বাড়তি নজরদারি ও উইংসের গবেষণা এই বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষায় নতুন আশা জাগাচ্ছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার মলানদিঘির বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে নেকড়ের প্রজনন বাড়ছে। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের মাধাইগঞ্জের জঙ্গলেও দেখা যাচ্ছে নেকড়েদের প্রজনন। সেখানে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতন করা হচ্ছে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
উইংসের সদস্যরাও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিনের মূল বার্তা ছিল একটাই, যদি এই প্রাণীরা হারিয়ে যায়, তবে নষ্ট হবে বনের বাস্তুতন্ত্র। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থানের পথই তাদের বাঁচানোর একমাত্র উপায়। দক্ষিণবঙ্গের মুখ্য বন সংরক্ষক বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “নেকড়ে ও হায়না সংরক্ষণে বন দফতর বিশেষভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। বিশেষ করে গড় জঙ্গল ও মাধাইগঞ্জ জঙ্গলে ধূসর নেকড়ে ও কিছু হায়না দেখা গিয়েছে। উইংসের ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।” উইংসের সম্পাদক অর্কজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ধূসর নেকড়ে সংরক্ষণের জন্য বিশেষ নজরদারি চালাই। ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে গতিবিধি নজর রাখা হচ্ছে। আমাদের সদস্যরা তৎপরতার সাথে কাজ করছেন।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
