দুর্গাপুর: প্রায় ৪০০ বছর আগে বাড়ির মেয়ে কল্যাণীকেই কালী রূপে পুজো করতে শুরু করে দুর্গাপুরের আমরাই গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার! কাটোয়া থেকে রত্নেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় আমরাই গ্রামের চ্যাটার্জি পাড়ায় এসে বসতি স্থাপন করেন। রত্নেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ছেলে কৃষ্ণমোহন এবং এক মেয়ে কল্যাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কল্যাণীকেই কালী রূপে পুজো করা শুরু হয়।
কথিত আছে, কল্যাণী বান্ধবীদের সঙ্গে পুকুরে স্নান করতে যান। এক বান্ধবী জলে নামার পর তাঁর পায়ে কোনও কিছুর স্পর্শ পান। তিনি ভয়ে উঠে চলে আসেন। তা শুনে কল্যাণী জলে নামেন। আচমকা তলিয়ে যান তিনি। পুকুরে জাল ফেলে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও লাভ হয়নি। দিনের শেষে পুকুর পাড়ে ক্লান্ত অবসন্ন রত্নেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ছেলে কৃষ্ণমোহন ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁরা স্বপ্নাদেশ পান, পরদিন ভোরবেলা কল্যাণী পুকুর থেকে উঠে বাড়িতে যাবেন। একই স্বপ্নাদেশ পান এক ঢাকিও। তাঁকে ভোরে পুকুরের ঈশান কোণে যেতে বলা হয়।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
পরদিন ভোরে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সবাই ও গ্রামবাসীরা পুকুরে যান। দেখা যায়, এক বুক জল থেকে মাথায় একটি কলস নিয়ে কল্যাণী উঠে আসছেন। বেজে ওঠে ঢাক। শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি দিতে শুরু করেন মহিলারা। কল্যাণী কলস মাথায় চ্যাটার্জি পাড়ায় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের জমিতে কলস নামিয়ে কালীপুজোর নির্দেশ দেন। কল্যাণীকেই কালী রূপে পুজো করা শুরু হয়। তাই নাম হয় কল্যাণী কালী। সেই কলস ব্রহ্মকলস নামে পরিচিত ৷ তা আজও সযত্নে রক্ষিত আছে মন্দিরে। কলসের জল বছরে একবার বদলানো হয়। সেটি ঢাকা দেওয়া থাকে সোনা, রুপো, কাঁসা, পিতল, তামা সহ বিভিন্ন ধাতু দিয়ে নির্মিত পদ্ম চিহ্নিত শ্রী যন্ত্র দিয়ে। বলা হয়, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তরা ব্রহ্মকলসের জল পান করে সুস্থ হয়ে ওঠেন। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।