সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের তিনশো বছরের পুরনো পুজোয় জড়িয়ে আছে নানা কাহিনী। বর্ধমান রাজ বিজয় চাঁদ মহতবের কাছ থেকে জায়গির পেয়েছিলেন দুর্গাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের পূর্ব পুরুষ। গোপীনাথ চট্টোপাধ্যায় এর জেষ্ঠ পুত্র দুর্গাচরণ। বলা হয়, তাঁর নামেই দুর্গাপুর শহরের নামকরণ। এই বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয় স্বপ্নাদেশ পেয়ে। পরিবারের সদস্যরা দেশ বিদেশে যে যেখানেই থাকুন, পুজোয় বাড়ি ফেরেন।
কথিত আছে, পুকুরের ধারে বসে থাকা এক বধূ শাঁখারির কাছে শাঁখা পড়ে পয়সা নিতে বলে চট্টোপাধ্যায় বাড়ি থেকে। বলে দেন, পয়সা রাখা আছে বাড়ির কুলুঙ্গিতে। শাঁখারি চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে গিয়ে একথা জানান। পরিবারের সদস্যরা দেখেন, বাড়ির কুলুঙ্গিতে শাঁখা সিঁদুর রয়েছে। সেই রাতেই স্বপ্নাদেশে মা দুর্গা বাড়িতে পুজো শুরু সরার নির্দেশ দেন। তখন থেকে পুজো হয়ে আসছে এই পরিবারে। এক সময় এই পুজোয় মহিষ বলি হত। পুজো চারদিন গ্রামের সবাই অন্নভোগ পেতেন। নবমীর দিন আশেপাশের চার-পাঁচটা গ্রামের মানুষ আসতেন। দুপুর থেকে খাওয়া শুরু হত। শেষ হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেত। বসত নহবত। এখন আর সেই জৌলুস নেই।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
পরিবারের এক সদস্য জানান, নবমীর দুপুরে লাউ এর তরকারি হতে হবে। দশমীর দুপুরে চিঁড়ে ভোগ এবং চ্যাং মাছ পোড়া দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় ঠাকুরকে। পুজোর মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় মন্দির সাফ করার কাজ। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দেখা গেল, বাড়ির গৃহবধূ থেকে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েরা, এমন কী পাড়ার মহিলারাও এসেছে মন্দির পরিষ্কারের কাজে সাহায্য করতে। বাড়ির মহিলাদের উৎসাহ বিশেষ ভাবে চোখে পড়ার মত। এক চালার মূর্তি। ডাকের সাজ। মহালয়ার দিন থেকেই মায়ের ভোগ শুরু হয় বিভিন্ন রকম পদ রান্না করে। (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।