দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: ফের পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পার্কিং জোনের কাছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে থাকা একজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আরও কয়েকজনকে ঠেলাঠেলি করা হয়। অন্য গোষ্ঠীর লোকজন পাল্টা এক তৃণমূল কর্মীর স্কুটি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এরপর বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের মধ্যে।
দুই পক্ষই শুক্রবার কোকওভেন থানায় যায়। অশান্তি এড়াতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় বেসরকারি কারখানা সংলগ্ন এলাকায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ওই বেসরকারি কারখানার দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিতে শুরু করে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী। দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি সমীরণ পালের অভিযোগ, “যারা মারছে তাঁরা তৃণমূল। যারা মার খাচ্ছে তারাও তৃণমূল। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বিরোধীরা বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে।”
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
পাল্টা অন্যগোষ্ঠীর তরফে শ্রমিক নেতা সঞ্জিত দে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুর নগর নিগমে পার্কিং জোনে বসে অসামাজিক কাজ করে বহিষ্কৃত তৃণমূলের কর্মীরা। তারা কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের মারধর করা হয়। আহত হয় আমাদের কয়েকজন।” তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্বে বিড়ম্বনায় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী নেই। সবই বিরোধীদের চক্রান্ত।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।