পরকীয়ার জেরে মর্মান্তিক খুন, কুয়োয় মিলল আলেয়ার পচা দেহ

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বেরোতে চাইছিল প্রেমিক। অন্যদিকে প্রেমিকা নারাজ। সে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকাকে গলা কেটে খুন করল প্রেমিক। শুধু তাই নয়, দেহের সঙ্গে ইট বেঁধে দেহটি ফেলে দেয় কুয়োয়। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার রাঙ্গামাটি গ্রামে।
বছর ৩৫ এর আলেয়া বিবি থাকত স্বামী এবং সন্তানের সঙ্গে। ১৬ আগস্ট সে নিখোঁজ ছিল। ৩১ আগস্ট তার পচন ধরা দেহ উদ্ধার হয় শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের কাছে একটি কুয়ো থেকে। আলেয়ার স্বামী থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন। রাঙ্গামাটি গ্রামের যুবক শেখ লালন আলেয়াকে খুন করেছে বলে অভিযোগে দাবি করা হয়। পুলিশ লালনকে গ্রেফতার করে। পুলিশি হেফাজতে তাকে জেরা করা হয়। কিন্তু বিশেষ কিছু জানতে পারছিল না পুলিশ।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
একই সঙ্গে পুলিশ আলেয়াকে শেষবার ফোন করা একটি নম্বরের মালিকের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশ জানতে পারে, সেই নম্বরটি রয়েছে আলেয়ারই নামে। তবে আলিয়া সেটি ব্যবহার করত না। সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই রবিবার রাতে পুলিশ পৌঁছে যায় রাঙ্গামাটি গ্রামের শেখ সালাউদ্দিনের ঘরে। তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার মুখে সে জানায়, আলিয়া তাকে জুলাই মাসে ওই সিমটি দিয়েছিল। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় এক বছর ধরে দুজনের পরকীয়া চলছিল। সালাউদ্দিনের স্ত্রী, সন্তান রয়েছে। তাই সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল। কিন্তু আলেয়া নানা ভাবে চাপ দিচ্ছিল। তাই ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় তাকে ফোন করে ডাকে সে। আলেয়া বাড়ি থেকে আসার সময় ১৮ হাজার টাকা নিয়ে আসে। শ্রীকৃষ্ণপুরের কাছে সে কাটারি দিয়ে আলেয়ার গলায় কোপ মেরে খুন করে। এরপর দেহের সঙ্গে ইট বেঁধে সেখানে একটি কুয়োয় ফেলে দেয়। পুলিশ তাকে জেরা করে আলেয়ার সঙ্গে থাকা ১৮ হাজার টাকা সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে খুনের অস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, শেখ লালনের সঙ্গে এই খুনের কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)
