২১৭ বছরের ঐতিহ্য! ব্যাঘ্রবাহিনী রূপে পূজিত হন মদনপুর জমিদারবাড়ির দুর্গা

২১৭ বছরের ঐতিহ্য! ব্যাঘ্রবাহিনী রূপে পূজিত হন মদনপুর জমিদারবাড়ির দুর্গা
WhatsApp Group Join Now
Instagram Group Join Now

স্বপ্নাদেশে শুরু হয় পুজো!

দুর্গাপুর দর্পণ, অন্ডাল: সিংহ নয়, বাঘই তাঁর বাহন। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) অণ্ডালের মদনপুরের জমিদারবাড়িতে দুর্গা আজও ব্যাঘ্রবাহিনী রূপে পূজিত হন। প্রাচীন এই পারিবারিক পূজো ঘিরে আজও গ্রামে জমে ওঠে উৎসবের আবহ। গ্রামের মানুষদের কাছে এই পুজো শুধু জমিদারবাড়ির নয়, সবার। পরিবারের যাঁরা কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন, তাঁরাও চেষ্টা করেন এই ক’দিন পিতৃভিটায় থাকতে। পুজোর চার দিন কারও ঘরে আলাদা রান্না হয় না—সকলের জন্য ভোগ রান্না হয় মন্দির প্রাঙ্গণেই।

ভিডিও দেখতে হলে Watch on Youtube ক্লিক করুন

কথিত আছে, প্রায় ২১৭ বছর আগে জমিদার মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশ পান। মা দুর্গা তাঁকে যে রূপে দর্শন দিয়েছিলেন, সেই রূপেই প্রতিমা গড়ার নির্দেশ দেন। আশ্চর্যের বিষয়, দুর্গাপুরের এক মৃৎশিল্পী ভুবন মিস্ত্রিও একই স্বপ্ন পান। তারপর থেকেই তৈরি হয় এই বিশেষ প্রতিমা—মা দুর্গা বাঘের উপর উপবিষ্ট, বাম পাশে গণেশ, ডান পাশে কার্তিক। এ রূপ সচরাচর অন্য কোথাও দেখা যায় না।

(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)

চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা জানালেন, শুরু থেকেই যে নিয়মে পুজো শুরু হয়েছিল, আজও সেই নিয়মই পালন করা হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পরিবারের আর্থিক সহযোগিতাতেই পুজো চলছে। জমিদার মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জমিদারি বিস্তৃত ছিল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও বর্ধমানের বহু মৌজায়। বিহারের মুজফ্‌ফরপুরে ছিল তাঁর জমিদারির কেন্দ্র। সেই সময় যাদের ‘কোটাল’ বলা হতো, সেই চাষিরা আজও প্রথা মেনে পুজোর শুরুতেই মদনপুরে এসে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন। সকলের সম্মিলিত এই উৎসব আজও মানবিক বন্ধনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)

Highlight
ব্যাঘ্রবাহিনী রূপে পূজিত হন মদনপুর জমিদারবাড়ির দুর্গা
News
ব্যাঘ্রবাহিনী রূপে পূজিত হন মদনপুর জমিদারবাড়ির দুর্গা
:
কথিত আছে, প্রায় ২১৭ বছর আগে জমিদার মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশ পান। মা দুর্গা তাঁকে যে রূপে দর্শন দিয়েছিলেন, সেই রূপেই প্রতিমা গড়ার নির্দেশ দেন। আশ্চর্যের বিষয়, দুর্গাপুরের এক মৃৎশিল্পী ভুবন মিস্ত্রিও একই স্বপ্ন পান।
Published By
error: Content is protected !!