দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগ। সঙ্গে টাইপ ২ ডায়াবেটিস। বয়স ৭৩ বছর। মেনোপজ পরবর্তী রক্তপাতের সমস্যা নিয়ে তাঁকে আনা হয় হাসপাতালে। ধরা পড়ে জরায়ু ক্যান্সার। তারপর?
——————————————-
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগ। সঙ্গে টাইপ ২ ডায়াবেটিস। বয়স ৭৩ বছর। মেনোপজ পরবর্তী রক্তপাতের সমস্যা নিয়ে তাঁকে আনা হয় পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে (Mission Hospital Durgapur)। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, তাঁর জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে। এই খবর পাওয়া মাত্র তিনি এবং তাঁর আত্মীয়রা, সবাই কার্যত হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন।
চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ অনির্বাণ দাশগুপ্ত (Gynaecological Oncology)। অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত মহিলাকে সুস্থ করে তুলতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। রোগী ও তাঁর পরিজনেরা সেজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
ডাঃ অনির্বাণ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সাফল্যের পিছনে রয়েছে রোগীর সাহস, তাঁর পরিজনদের আত্মবিশ্বাস এবং মিশন হাসপাতালের দক্ষ মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিমের তৎপরতা।’’ তিনি জানান, এক মুহূর্ত দেরি না করে তাত্ক্ষণিক ভিত্তিতে ল্যাপারোস্কোপিক সম্পূর্ণ স্টেজিং সার্জারি (laparoscopic complete staging surgery) করেন তিনি। গাইনি অনকোলজি, অ্যানেস্থেসিওলজি, নেফ্রোলজি এবং এন্ডোক্রিনোলজি টিম রোগীর প্রয়োজনীয় দেখভাল শুরু করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর HbA1c দশ শতাংশ থাকা সত্ত্বেও, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং সফল ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির জেরে রোগীর রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়। অস্ত্রোপচারের পরবর্তী রিকভারিও অত্যন্ত মসৃণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সবথেকে জরুরি বিষয়, প্রাথমিক পর্যায়ের শুরুতেই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। বায়োপসিতে স্পষ্ট হয়েছে, সমস্ত লিম্ফ নোড এবং সংলগ্ন দূরবর্তী স্থানে ক্যান্সারের কোনও চিহ্ন নেই। তাই তাঁর কেমোরেডিয়েশনের প্রয়োজন হবে না। কোনও অস্ত্রোপচার পরবর্তী সংক্রমণও ধরা পড়েনি। ডাঃ অনির্বাণ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘মিশন হাসপাতালে এই ধরণের জটিলতম অস্ত্রোপচার ও এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত রোগীদের প্রাণ বাঁচানোর প্রচেষ্টা চলছে।’’ (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।