দুর্গাপুর দর্পণ, ২ মে ২০২৪: টানা গড়ে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা চলছে। এই অবস্থায় লাগাতার লোডশেডিং। প্রতিবাদে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের বিধান নগরের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের অফিসের ভিতরেই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দুর্গাপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি সহ বিধাননগরের বেশ কিছু এলাকাবাসীর। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের ফ্যান, লাইট। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের কাজকর্ম। দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।
বিক্ষোভকারী বিপিন কুমার শর্মা অভিযোগ তোলেন, কোনওদিন সাময়িক বিদ্যুৎ থাকছে। আবার কোনওদিন চরম লো ভোল্টেজ। চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের, শিশু থেকে এলাকার সমস্ত মানুষকে। এলাকায় রয়েছে একটি মাত্র ট্রান্সফর্মার। আর, সেই ট্রান্সফর্মারের উপর চাপ বাড়ছে দিন দিন। সেই ট্রান্সফর্মার থেকেই একটি ফ্ল্যাটেও দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। অত্যাধিক চাপে বারে বারে পুড়ে যাচ্ছে সেই ট্রান্সফর্মার। ফলে এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না। একই অবস্থা শিল্প কানন ফেজ টু, টেটিখোলা প্রভৃতি এলাকাতেও।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
চূড়ান্ত দুরাবস্থার মধ্যে পড়ে তাঁরা বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েছেন সব। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকেও বিষয়টি জানানো হলেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে এসেছেন বিক্ষোভ দেখাতে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ চালিয়ে যাবেন আন্দোলন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শুভজিৎ ব্যানার্জি বলেন, “দ্রুত এই পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে।” বিক্ষোভকারী তারকনাথ ঘোষ পরিষ্কার জানিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত এলাকায় ফ্যান চলছে, লাইট জ্বলছে ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ অফিসেরও ফ্যান লাইট বন্ধ থাকবে।”
(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।