দুর্গাপুর: স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে টাইলস দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল স্বামী! ৭ বছর পর বেরোলো মামলার রায়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিলেন দুর্গাপুর আদালতের বিচারক। বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা হায়দার শেখ ভাড়া থাকত দুর্গাপুরের বেনাচিতির উত্তরপল্লিতে। সেই বাড়িতেই স্ত্রী রীনা বেগমকে খুন করে উঠোনে দেহ পুঁতে উপরে টাইলস বসিয়ে দিয়েছিল পেশায় রাজমিস্ত্রী হায়দার।
ঘটনার কথা জানাজানি হয় ২০১৭ সালের ২৫ মে সন্ধ্যায়। মানসিক যন্ত্রণা থেকে নিজেই হায়দার ফোন করে বাড়ির মালিক তরুণ রায়কে জানায়, দিন দুয়েক আগে সে স্ত্রীকে খুন করে উঠোনে পুঁতে দিয়েছে। তরুণবাবু বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুর থানায় জানান। পরদিন পুলিশ কংক্রিট খুঁড়ে রীনার দেহ উদ্ধার করে। হায়দার ফিরে আসতেই সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
পুলিশ জেরায় জানতে পারে, স্ত্রীকে খুনের আগে ছেলে-মেয়েদের সে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর পরিচিতদের জানিয়ে দেয়, রীনা ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু রীনার দেহ উদ্ধারের পরে সবাই বুঝতে পারেন, সেটা আসলে ছিল খুনের ঘটনা চাপা দেওয়ার ছক। সাত বছর ধরে মামলা চলার পরে রবিবার বিচারক হায়দারকে দোষী সব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা করেন বলে জানান সরকারী আইনজীবী তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।