অমৃত বচন: তাঁর একটি কিরণে এই জগতে জ্ঞানের আলো পড়েছে, তবেই আমরা পরস্পরকে জানতে পারছি…

WhatsApp Group Join Now
Instagram Group Join Now

অমৃত বচন: তাঁর একটি কিরণে এই জগতে জ্ঞানের আলো পড়েছে, তবেই আমরা পরস্পরকে জানতে পারছি…(সংকলক: সন্দীপ সিনহা)

ঈশ্বরদর্শন ও ভক্তি: শ্রীবিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী শ্রীশ্রীঠাকুরকে প্রশ্ন করলেন, ঈশ্বরদর্শন কেমন করে হয়? শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন, চিত্তশুদ্ধি না হলে হয় না। কামিনী-কাঞ্চনে মন মলিন হয়ে আছে, মনে ময়লা পড়ে আছে। ছুঁচ কাদা দিয়ে ঢাকা থাকলে আর চুম্বক টানে না। মাটি কাদা ধুয়ে ফেললে তখন চুম্বক টানে। মনের ময়লা তেমনি চোখের জলে ধুয়ে ফেলা যায়।

“হে ঈশ্বর, আর অমন কাজ করবো না” বলে যদি কেউ অনুতাপে কাঁদে তাহলে ময়লাটা ধুয়ে যায়। তখন ঈশ্বররূপ চুম্বক পাথর মনররূপ ছুঁচকে টেনে লন। তখন সমাধি হয়, ঈশ্বর দর্শন হয়। কিন্তু হাজার চেষ্টা করো, তাঁর কৃপা না হলে কিছু হয় না। তাঁর কৃপা না হলে তাঁর দর্শন হয় না। কৃপা কি সহজে হয়? অহংকার একেবারে ত্যাগ করতে হবে।

‘ আমি কর্তা’এ বোধ থাকলে ঈশ্বর দর্শন হয় না। ভাঁড়ারে একজন আছে, তখন বাড়ির কর্তাকে যদি কেউ বলে, মহাশয় আপনি এসে জিনিস বার করে দিন। তখন কর্তাটি বলে, ভাঁড়ারে একজন রয়েছে, আমি আর গিয়ে কি করবো! যে নিজেই কর্তা হয়ে বসেছে তার হৃদয়মধ্যে ঈশ্বর সহজে আসেন না। কৃপা হলেই দর্শন হয়। তিনি জ্ঞানসূর্য। তাঁর একটি কিরণে এই জগতে জ্ঞানের আলো পড়েছে, তবেই আমরা পরস্পরকে জানতে পারছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!