পচা লাশের গাড়ি থেকে টপ টপ করে ঝড়ছে রক্তরস, বীরভানপুর মহাশ্মশান এখন বিভীষিকা

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: নগর নিগমের গাড়ির ভেতর বেওয়ারিশ পচন ধরা দেহ! দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশান। আত্মীয় পরিজনের দেহ দাহ করতে নাজেহাল দশা শ্মশান যাত্রীদের। বিজেপির কটাক্ষ, দুর্গাপুর নগর নিগমই দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে নগর নিগম।
জানা গিয়েছে, জ্বালানি কাঠের সংকট। তাই বীরভানপুর মহাশ্মশানে তিন দিন ধরে পড়ে রয়েছে গাড়ি ভর্তি বেওয়ারিশ দেহ। সাতটি দেহ রয়েছে। গাড়ি থেকে টপ, টপ করে পড়ছে রক্ত রস। দুর্গন্ধে নাজেহাল শ্মশানে শবদাহ করতে আসা মানুষজন। কেউ মুখে কাপড়, কেউ গামছা বেঁধে কোনও রকমে রয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁরা বীরভানপুর মহাশ্মশানের কালীমন্দিরে পুজো দিতে আসছেন আতঙ্কের মধ্যে। যেভাবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে যে কোনও সময় সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
স্থানীয় বাসিন্দা মঞ্জু পাল দে বলেন, “পুজো দিতে এসেছিলাম। ভাবলাম ভোগ খাব। কিন্তু যা দুর্গন্ধ, তাতে মুখে, নাকে কাপড় বেঁধেও লাভ হচ্ছে না। বাচ্চাকে নিয়ে এখানে থাকা যাবে না। তাই আমরা চলে যাচ্ছি।” তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুধু শ্মশানে নয়, দুর্গাপুর নগর নিগমও দুর্গন্ধে ভরে উঠেছে। কাঠের অভাবে বেওয়ারিশ দেহ পড়ে রয়েছে। তিন দিন ধরেও জ্বালানি কাঠের যোগান দিতে পারেনি। যাঁরা শ্মশানে আসছেন, তাঁরাও চরম সমস্যায় ভুগছেন। আত্মীয়-পরিজনদের দাহ করতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে।” অভিযোগ স্বীকার করে নগর নিগমের প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি বলেন, “২৬ মার্চ দেহগুলি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে আনা হয়। ২৭ মার্চ কাঠ শেষ হয়ে যায়। সেই জন্য এই দেহগুলি দাহ হয়নি। ২৮ মার্চ অমাবস্যার জন্য দাহকাজ বন্ধ ছিল। শনিবার রাতে দেহগুলি দাহ করা হবে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
